কিষান মোর্চার ডাকা অবরোধে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিপর্যস্ত রেল চলাচল

নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পড়ল উত্তর-পূর্ব ভারতে। মোদি সরকারের তিন কৃষি আইন বাতিল করা ছাড়াও লখিমপুর কাণ্ডের উপযুক্ত…

Kisan Morcha disrupted train services

নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পড়ল উত্তর-পূর্ব ভারতে। মোদি সরকারের তিন কৃষি আইন বাতিল করা ছাড়াও লখিমপুর কাণ্ডের উপযুক্ত বিচার এবং ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দেশজুড়ে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কৃষকদের এই সংগঠন। কৃষক সংগঠনের ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে এদিন ভোর থেকেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে রেল চলাচল ব্যাহত হয়।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে রেল অবরোধ হওয়ার কথা থাকলেও ফিরোজপুর রেলওয়ে ডিভিশনের চারটি সেকশনে ভোর ৫টা থেকেই অবরোধ শুরু করেন কৃষকরা। অবরোধের কারণে ফিরোজপুর- ফাজিলকা ও ফিরোজপুর- লুধিয়ানা শাখায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়। উত্তর-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৮ টি জায়গায় রেল অবরোধ হয়েছে। এই অবরোধের জেরে এক ডজনেরও বেশি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হয়েছে।

Kisan Morcha disrupted train services

পাঞ্জাব হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকায় এদিন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা রেললাইনে বসে পড়েন। লুধিয়ানা, অমৃতসর, চণ্ডীগড়ের মত এলাকায় সকাল থেকেই কৃষকরা রেললাইনে পতাকা হাতে বসে পড়েন। ৩ কৃষি আইন বাতিল, লখিমপুর খেরি কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান তাঁরা। একই চিত্র চোখ পড়েছে হরিয়ানার রোহতক, বাহাদূরগড় ও সোনিপতে। রেললাইনের উপর থেকে কৃষকদের সরিয়ে দিতে আরপিএফ বাহিনী ছাড়াও রাফ নামানো হয় হরিয়ানায়।

রেল রোকো অভিযান আটকাতে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। যোগী সরকার হুমকি দিয়ে জানায়, যারা প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং ১৪৪ ধারা অমান্য করে জমায়েত করবে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। যদিও সরকারের এই হুমকিকে উপেক্ষা করে এদিন কানপুর, বেনারস, সহ কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ হয়। কৃষকরা সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে অবধি রেল অবরোধ করার কথা আগেই জানিয়েছিল।

কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত এদিন বলেছেন, এরপরেও যদি কেন্দ্র যদি কোনও কথা না শোনে তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব। আমাদের একটাই দাবি, ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে লখিমপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু তিন কৃষি আইন বাতিল লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্র একটি কথাও বলেনি। সে কারণেই আমরা রেল অবরোধের রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু এরপরেও যদি সরকারের টনক না নড়ে তবে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।