বিধানসভার বাইরে বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী

  পয়গম্বর বিতর্কে যখন রাজ্যের একাংশ অশান্ত ঠিক তখনই ফের বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন সাসপেণ্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের। সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ। জানা…

 

পয়গম্বর বিতর্কে যখন রাজ্যের একাংশ অশান্ত ঠিক তখনই ফের বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন
সাসপেণ্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের। সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ।

জানা গিয়েছে, এদিন বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে সাসপেণ্ডেড বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, যে পদ্ধতিতে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেণ্ড করা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক। এই রাজ্যে ক্রমপর্যায়ে যে ঘটনাগুলি ঘটছে, রামপুরহাটের বগটুইতে যেভাবে প্রশাসনিক ব্যর্থতা সামনে এসেছে। সেইসঙ্গে গত দুই-তিন দিন ধরে যে রাজনৈতিক বিশৃংখলার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গেছে, আজকে সাসপেণ্ড হয়ে আছি। কিন্তু বিধানসভার বাইরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলেও সাসপেণ্ড হয়ে যেতে হবে।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা কতক্ষণ বাইরে থাকব সেটা তো শাসক পক্ষ ঠিক করবে। বিরোধী দলকে বাইরে রেখে হাউজ চালাতে চায় বাংলার মানুষ সেটা দেখুক। আমরা রুলবই দেখে আবেদন জানিয়েছি। এমনকি আদালতের কথাও উল্লেখ করেছি। সেটাতেই স্পিকারের অসুবিধা। অথচ আদালত বলেছে সোমবার আবেদন করার জন্য। উদ্দেশ্য খারাপ।

এদিকে আজকেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে আনার জন্য বিল পাশ করতে শাসক দল। তৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে। সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু জানান, এই বিলের বিরোধিতা করবে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনে বিধানসভার ভিতরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগে সাত বিজেপি বিধায়কদের সাসপেণ্ড করেন স্পিকার। সাসপেণ্ড বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখ্যোপাধ্যায়।