১ লাখ টাকা পর্যন্ত এবার পুজোর অনুদান দিচ্ছে বিজেপি!

রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিতে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। বছর বছর অনুদানের রাশিও বাড়ছে। এ বছর ক্লাব পিছু…

রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিতে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। বছর বছর অনুদানের রাশিও বাড়ছে। এ বছর ক্লাব পিছু ৭০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে মমতার সরকার। পিছিয়ে নেই বঙ্গ বিজেপিও। পুজোর অনুদানে এবার আসরে পদ্ম শিবিরও। সূত্রের খবর, পুজো করতে চেয়ে বিজেপির কাছে প্রায় এক হাজারের আশপাশে আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪২৫টি আবেদনকে দলের তরফে বাছাই করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ৪২৫টি পুজো কমিটিকে আর্থিক সাহায্য দেবে বিজেপি।

সূত্রানুসারে, এক একটি পুজো কমিটিকে ৩০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বঙ্গ বিজেপির। কোনও কোনও পুজো কমিটিকে ১ লাখ টাকা বা তার বেশিও দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সামনেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে বাঙালি ভাবাবেগে শান দিতে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্য সরকারের তরফে গতবছর পুজোর অনুদান ছিল ক্লাব পিছু ৬০ হাজার টাকা। এবার তা এক লাফে ১০ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এবার ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে পুজোর অনুদান দিচ্ছে রাজ্য।

   

লোকসভা ভোটের মুখে এবার পুজোর অনুদানের মাধ্যমে জনসংযোগে আরও জোর দিতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি শিবিরও। অনুদানের দিক থেকে পিছিয়ে থাকছে না তারাও। ক্লাব ভিত্তিক হিসেবে কোথায় ৩০ হাজার টাকা, তো কোথাও আবার ৮০ হাজার টাকা করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে সূত্রের খবর।

বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য এর সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে চাইছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘দুর্গাপুজোর সঙ্গে কোনও রাজনীতি নেই। বিজেপি বা বিজেপি-বিরোধী… এখানে আমরা পুজো নিয়ে কোনও রাজনীতি করিনি। কোনও পার্থক্যও চাই না।” তিনি আরও বলেন, এমন অনেক পুজো কমিটি রয়েছে, যেগুলি তুলনায় কিছুটা দুর্বল। সেসব ক্ষেত্রে দলীয় কর্মীরা পুরো দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন।

বিজেপির এই পুজোর অনুদান প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অনেকে কিছু করার জন্য করেন, আবার অনেকে দেখানোর জন্য করেন। এটা মানুষের উপর ছেড়ে দিন, মানুষ বুঝে নেবে।”