Kamduni: কামদুনি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল

কামদুনি ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল। কামদুনির মিছিল থেকে মূল দাবি এরকম নৃশংস ঘটনায় কেন বিচার পেল না। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা ও শিশুরা সুরক্ষিত…

কামদুনি ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল। কামদুনির মিছিল থেকে মূল দাবি এরকম নৃশংস ঘটনায় কেন বিচার পেল না। পশ্চিমবঙ্গে মহিলা ও শিশুরা সুরক্ষিত নয় এই প্ল্যাকার্ড বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে হাতে। কিছুক্ষণেই শুরু হবে মিছিল। মিছিলে উপস্থিত বিজেপির মহিলা কর্মী সমর্থকরা। মিছিলে চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন তারা।

কামদুনির রায় মেনে নিতে পারেনি কামদুনির মানুষ। তাই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছে। কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সিআইডি-র আবেদন বাতিল করল আদালত। সব পক্ষকে নোটিশ জারি করার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার কামদুনি মামালার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে হাইকোর্টের রায়কে স্থগিত না করলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে বলা হয় যে সংস্লিষ্ট ব্যাক্তিরা নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। রাজ্যের তরফে আর্জি জানানো হয় যে হাইকোর্টের রায়ের ফলে তারা মুক্তি পাওয়ার আগেই সেই রায় স্থগিত রাখা হোক। আইনজীবী কপিল সিব্বলের এই যুক্তিতে সাড়া দিলেন না বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে অভিযুক্তরাও এদেশের নাগরিক।

২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল কামদুনিকাণ্ডের তিনজন অভিযুক্তকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট তিনজনের একজনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে। বাকি দু’জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। আরও তিনজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল নিম্ন আদালতের বিচারে। যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। তাদেরও একজন বেকসুর খালাস হয়। বাকি দু’জন ১০ হাজার টাকা জরিমানায় মুক্ত হবে। তবে সেই টাকা না দিতে পারলে আরও তিনমাস জেল খাটবে তারা। আদালতের এই নির্দেশে তোলপাড় রাজ্য। এই রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।