SSC Scam: দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চলছে তার নায়িকাকে গ্রেফতার করতে হবে: বিকাশরঞ্জন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) শনিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইডির তরফে আটক করা হয়েছে তাঁর আপ্ত সহায়ককে। অন্যদিকে, গতকাল দক্ষিণ কলকাতার…

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) শনিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইডির তরফে আটক করা হয়েছে তাঁর আপ্ত সহায়ককে। অন্যদিকে, গতকাল দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে। সেই ঘটনায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, এই যে চুড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই আমি বলে আসছি সারদা মামলা, নারদা মামলা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলা, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মামলা, সবেতেই দুর্নীতি, টাকার খেলা। এটা সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিত হয়েছে মমতা দ্বারা। পার্থরা কলের পুতুল। মমতা যা বলে এরা তাই করতে বাধ্য হয়। আজকে তদন্ত করতে গিয়ে এই সত্যগুলো সামনে এসেছে।

পড়ুন: CPIM: কমিউনিস্ট পার্থ ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, সাদা পাঞ্জাবিতে নেই দুর্নীতির দাগ

সরাসরি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, তদন্তের চুড়ান্ত যুক্তিসঙ্গত পরিণতি হবে মমতাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। আরও শত শত কোটি টাকা উদ্ধার হবে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, সেগুলো প্রকাশিত হবে।

যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে সেটাকে হিমশৈলের চূড়ামাত্র বলা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, এতো কিছুই না। কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি নিয়ে প্রচার হয়েছে। নিজের সৎ ভাবমুর্তি প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। লাখো লাখো টাকা খরচ করা হয়েছে প্রচারের জন্য। প্রচার মাধ্যমকে কিনে নেওয়া হয়েছে। গণশক্তির কন্ঠরোধ করার জন্য বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টে মমলা করে নির্দেশ পেয়েছি বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তাও তিন দেননি। যে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার চলছে তার নায়িকা যিনি তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।

একইসঙ্গে সিপিআইএম নেতার দাবি, মমতাকে গ্রেফতার করতে অসুবিধে কারণ তিনি মোদির সঙ্গে গোপন আঁতাত করছেন। যে আঁতাতে প্রত্যক্ষ ফলে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি মোদি প্রার্থীকেই প্রকারান্তরে সাহায্য করছেন। যদি রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে, সিবিআই, ইডি যদি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারে, তাহলে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মমতাকে গ্রেফতার করা উচিত। সেই সম্ভাবনা প্রবল।

ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। যেখানে বলে হয়েছে, এই গোটা দুর্নীতিতে চলত মেকটি চেইন। যার সংতে যুক্ত ছিলেন দালাল, থেকে নেতারা। এপ্রসঙ্গে বিকাশবাবু বলেন, এটা আমাদের অভিযোগ প্রথম থেকেই। সবটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে বলেছিলেন টাকা আদায় করছ ৭৫-২৫ দাও। এটা তো পরিকল্পিত। টাকা তুলছ তোলো, আমাদের ২৫-৭৫ দাও।

এর পরেই বিস্ফোরক বক্তব্য বিকাশবাবুর। তিনি বলেন, আমি নাম করছি না। কিন্তু কলকাতার বুকে বেশ কিছু বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হোক। তাঁরা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন কোথা থেকে? এটা চোরেদের দল। চোরেদের মক্ষীরানি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।