CPIM: কমিউনিস্ট পার্থ ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, সাদা পাঞ্জাবিতে নেই দুর্নীতির দাগ

ইনিও পার্থ, তিনিও পার্থ… তফাৎ শুধু মানসিকতায়। তফাৎ কাজ ও রাজনৈতিক অবস্থানেও। টানা তিন দশকের বাম জমানায় বারবার বিধায়ক, পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে আজ…

ইনিও পার্থ, তিনিও পার্থ… তফাৎ শুধু মানসিকতায়। তফাৎ কাজ ও রাজনৈতিক অবস্থানেও। টানা তিন দশকের বাম জমানায় বারবার বিধায়ক, পরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে আজ নীরব। তিনি জেনেছেন তাঁর উত্তরসূরী অপর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিণতি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে, কোটি কোটি বেআইনি টাকা ও বান্ধবী সহ তণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী পার্থবাবু গ্রেফতার হয়েছেন। আর সাদা পোশাক বেদাগ রেখে অন্তরালে আছেন সিপিআইএম (CPIM) নেতা পার্থ দে।

বাম পার্থ ও তৃণমূলী পার্থর মধ্যে যেন হাজার আলোকবর্ষ দূরত্ব! দুজনেই এ রাজ্যের বাসিন্দা। বাম জমানার শেষ পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ দে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সাড়ে তিন দশকের বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সময় ছিলেন বিধায়ক।

পড়ুন: SSC Scam: বিপুল বেআইনি টাকা, সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার, গ্রেফতার TMC মহাসচিব পার্থ

বাম সরকার পতনের পর পার্থ দে চলে গেছিলেন অন্তরালে। ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে টানা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে হাসপাতালের বাইরে আসার সময় কেউ বু়ঝতেও পারেনি তিনিই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী!

ঘটনাটা ঘটেছিল এমন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বালিগঞ্জের বাড়িতে ফেরার সময় মাঝপথেই তাঁকে নামিয়ে দিয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা। তখনও তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পরিচয় দেননি।বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে শোরগোল হয়। পরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পার্থবাবুকে ফোন করে ক্ষমা চায়। তিনি বলেন, মাঝপথে নামিয়ে দেওয়ার জন্য কারও যেন শাস্তি না হয়। এ বিষয়ে সিপিআইএম তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সরব হন।

ইংরাজি সাহিত্যের অধ্যাপক পার্থ দে একজন কমিউনিস্ট। বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৭৭ সালে জিতে বিধায়ক হন তিনি। ১৯৮৭ সাল থেকে পরপর তিন বার বিধায়ক হন। মাঝে ১৯৮২ ও ২০০১ সালে হেরেছিলেন। ফের ২০০৬ সালে জয়ী হন। সেবার হন শিক্ষামন্ত্রী।