BIG UPDATES: কাশ্মীর দখলে তালিবানদের সাহায্য চাইল মুম্বই হামলার মূলচক্রী মৌলানা মাসুদ আজহার

নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। তারপরেই পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar) জম্মু-কাশ্মীরে দখলের জন্য তালিবানদের সহযোগিতা চাইলেন। সূত্র উদ্ধৃত করে…

jaish chief masood azhar

নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। তারপরেই পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar) জম্মু-কাশ্মীরে দখলের জন্য তালিবানদের সহযোগিতা চাইলেন। সূত্র উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে গোপন বৈঠক সারতে কান্দাহারও গিয়েছিলেন তিনি।

২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মাসুদ আজহারের সঙ্গে বৈঠক করে তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বরাদার। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। দেশে শরিয়তি আইন কায়েম হওয়াতে গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে দেখা গিয়েছে কট্টরপন্থীদের। তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার মাসুদ আজহারের কাশ্মীর দখলের স্বপ্নে তালিবানদের সামিল করায় জল্পনা আরও বাড়ল।

কয়েক দিন আগে মাসুদ আজহার “মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারকে” হটিয়ে ক্ষমতা দখল করায় তালিবানদের প্রশংসা করেছিলেন। জইশ-ই-মহম্মদ নেতা “মঞ্জিল কি তারফ” (গন্তব্যের দিকে) শিরোনামের একটি নিবন্ধে আফগানিস্তানে “মুজাহিদিনের সাফল্যের” প্রশংসা করেছেন। পাকিস্তানের বাহওয়ালপুর মারকাজে জইশ-ই-মহম্মদ কর্মীদেরও তালিবানদের বিজয়ের আনন্দে অভিনন্দন বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে।

১৯৯৯ সালে মাসুদ আজহারের মুক্তির পর থেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করে। কাঠমান্ডু থেকে লখনউ যাওয়ার পথে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আইসি-৮১৪ হাইজ্যাক করে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা। এরপর ফ্লাইটটি আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেসময় আফগানিস্তান শাসন করছিল তালিবানরা। ফলে চাপে পড়ে মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত সরকার।

চলতি মাসে ক্ষমতা দখলের পর এক বিবৃতিতে তালিবানরা জানিয়েছে, আফগান ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করা হবে না। যদিও ইন্ডিয়ান ইনটেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী তালিবানদের কাবুল দখলের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস এবং দেশের গুরুত্বপূর্ন অঞ্চলে নাশকতার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে।

কাশ্মীর ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়: তালিবান
আফগানিস্তান দখল করার কয়েকদিন পরেই তালিবানরা কাশ্মীরের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। সরকারীভাবে জানিয়ে দেয়, এটি একটি “দ্বিপক্ষীয়; এবং ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়”। সংবাদ সংস্থা এএনআই (Asian News International) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঘটনা তালিবানদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।

মাসুদের সুর শোনা গিয়েছে ইমরান খানের দলের নেত্রী মুখেও:
তালিবানের সাহায্যেই ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরকে স্বাধীন করবে পাকিস্তান! প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর এক নেত্রী এই দাবিই করেছেন টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে। নীলম ইরশাদ শেখ নামের ওই নেত্রী সোজাসুজি বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।” আফগানিস্তান্মে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। এবার কার্যত তাতেই শীলমোহর দিল তহেরিক-ই-ইনসাফ নেত্রী। শোয়ের শেষদিকে তিনি আবার তিনি জানান, তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা।

এর কয়েকদিন আগেও ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেও দেখা গিয়েছিল সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে।

জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছিলেনন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। এবার ইমরান খানের দলের নেত্রীর মুখেও একই সুর শোনায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।