Bangladesh: দুর্গাপূজায় ধর্মীয় ষড়যন্ত্র রুখতে বাংলাদেশ জুড়ে নামছে BGB, হাসিনার কড়া ভূমিকা

নিউজ ডেস্ক: কোনও ঝুঁকি নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ (Bangladesh) চরিত্র বজায় রাখতে মরিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সংখ্যালঘু…

BgB guards deployed durga puja pandals

নিউজ ডেস্ক: কোনও ঝুঁকি নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ (Bangladesh) চরিত্র বজায় রাখতে মরিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সংখ্যালঘু হিন্দুদের দুর্গাপূজা ঘিরে ষড়যন্ত্র রুখে নবমী ও বিজয়া দশমী সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য নিরাপত্তার কড়া নির্দেশ দিল বাংলাদেশ সরকার।

যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) রক্ষীদের। কুমিল্লা ও ঢাকা বিভাগের নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ সহ ২২টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।  সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সর্বত্রই দুর্গাপূজা সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে পরপর দুর্গাপূজা মণ্ডপ ভাঙচুর, মন্দিরে হামলা রুখতে বুধবার পুলিশের সংগে হামলাকারীদের সংঘর্ষের জেরে তিনজনের মৃত্যু, বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলা। হামলার পর থেকে এই দুই জেলার পরিস্থিতি থমথমে। তবে নতুন করে আর সংঘর্ষের ঘটনা নেই। জারি আছে ১৪৪ ধারা।

বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে‌। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, প্রয়োজন হলে রাজধানী ঢাকাতেও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

বুধবার দুর্গাপূজার অষ্টমী অনুষ্ঠানের আগে সোশ্যাল সাইটের গুজব ছড়ানো হয়, কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে মূর্তির নিচে পবিত্র কোরান শরিফ গ্রন্থ রেখে মুসলমান সম্প্রদায়ের অবমাননা করা হয়েছে। কিছু ছবি দ্রুত ছড়ায় ফেসবুকে। এর পরেই কয়েকটি দুর্গামণ্ডপে হামলা হয়। উত্তেজিত হামলাকারীদের থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। কয়েকজন জখম হন। রক্তাক্ত সেই ছবি দেখে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এর কিছু পরেই সোশ্যাল সাইটে স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম যুবক পোস্ট করেন, কীভাবে দুর্গামণ্ডপ কে ধর্মীয় ষড়যন্ত্রের নিশানা করা হয়। তাদের পোস্ট থেকে স্পষ্ট হয় একটি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তে নেমে কুমিল্লা জেলা পুলিশ জানতে পারে সবই ছিল ধর্মীয় উস্কানি।

কুমিল্লার পরিস্থিতি শান্ত হতে না হতেই চাঁদপুর জেলায় শুরু হয় গুজব পোস্ট ঘিরে দুর্গামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা। হামলাকারীদের রুখতে কড়া ভূমিকা নেয় পুলিশ। ‘গুলি’ লেগে ৩ জন মৃত বলে জানান স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক। কুমিল্লা ও চাঁদপুরের সংখ্যালঘুদের উৎসব ভণ্ডুল করার চেষ্টার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক ওবায়দুল কাদের জানান, দোষী যেই হোক ছাড় পাবেনা।

বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রকের জরুরি ঘোষণায় বলা হয়েছে, “কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।”