তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে চাকরিপ্রার্থীরা যাচ্ছেন দিল্লি

রাজ্যের জন্য আর্থিক পাওনার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না সমাবেশ করবে তৃ়ণমূল। তবে তাদের ট্রেন বুকিং বাতিল হয়েছে। পরে বিধায়ক ও সাংসদ নেতাদের নিয়ে যাওয়ার বিমান বুকিং…

রাজ্যের জন্য আর্থিক পাওনার দাবিতে দিল্লিতে ধর্না সমাবেশ করবে তৃ়ণমূল। তবে তাদের ট্রেন বুকিং বাতিল হয়েছে। পরে বিধায়ক ও সাংসদ নেতাদের নিয়ে যাওয়ার বিমান বুকিং বাতিল হয়। টিএমসি সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০টি বাস ভাড়া করে সমর্থকদের দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শনিবার সেই বাসগুলি কলকাতা থেকে ছেড়েছে। তৃণমূলের দিল্লি মিশনের মধ্যেই এবার দিল্লির পথে বাংলার প্রাথমিক নিয়োগের চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তারা। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করতে এবার রাজধানী যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা, কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন তারা বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ২০০৯ এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রথমিকে শিক্ষক পদে চাকরি প্রার্থীরা। সকাল ৮ টা ১৫ নাগাদ পূর্বা এক্সপ্রেসে করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। চাকরি প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন যে সমস্ত বিষয়ে পাশ করার পরও তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এবং এই কারণে আগামী ২ অক্টোবর তাঁরা দিল্লি যন্তর মন্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন। এরপর তারা চাকরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী দফতর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর দফতরে ডেপুটেশন জমা দেবেন। চাকরি প্রার্থীরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তারা দেখা করতে পারেন নি। তাই তারা দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না মঞ্চেও যাবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২-৩ অক্টোবর দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহা-কর্মসূচি। দিল্লি অভিযানের এই পুরো কর্মসূচিতেই থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দিল্লি যাচ্ছেন দলের সাংসদ ও বিধায়করাও। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল সভা করে দু-দিনের দিল্লিতে কর্মসূচিতে কী কী থাকবে তা ঘোষণা করেন। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফাইট ফর রাইট’ (A fight for our rights)।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” ২ তারিখ আমরা ঘণ্টা দু’য়েক শান্তিপূর্ণভাবে রাজঘাটে বসব। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, সাংসদরা থাকবেন সেখানে। আমরা যখন রাজঘাটে বসব, পঞ্চায়েতের প্রধানরা গান্ধীজীর মূর্তিতে মাল্যদান করবেন, শ্রদ্ধা জানাবেন। পারলে একটা মোমবাতি জ্বালাবেন। বিকেলে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে মোমবাতি মিছিলও করতে পারেন।”