Behala Accident: ‘পুলিশ টাকা নেয় ওরাই সব ঢাকছে…’ দুর্ঘটনার জেরে বেহালা জ্বলছে

কলকাতার অন্যতম বেহালা চৌরাস্তা মোড়ের চারিদিকে আতঙ্কিত জনতার দৌড়। পুলিশের উপর হামলারও অভিযোগ উঠছে। দুর্ঘটনায় (Behala Accident) জোড়া মৃত্যুর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,…

কলকাতার অন্যতম বেহালা চৌরাস্তা মোড়ের চারিদিকে আতঙ্কিত জনতার দৌড়। পুলিশের উপর হামলারও অভিযোগ উঠছে। দুর্ঘটনায় (Behala Accident) জোড়া মৃত্যুর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এত ব্যস্ত বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকেই না। তারা আরও বলছেন, আজ যে গাড়িটা ধাক্কা মেরে পালিয়েছে সেটা ইচ্ছে করলেই আটকাতে পারত পুলিশ। টাকা খেয়ে সব চেপে দিতে চায় পুলিশ।

জানা যাচ্ছে বেহালা থেকে বেরিয়ে গেলেও ঘাতক লরিটি ও চালককে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে আটক করেছে হাওড়া ট্রাফিক পুলিশ। এদিকে বেহালায় তীব্র উত্তেজনা।

   

পথ নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ জমে ছিল বেহালার মানুষের মনে। স্কুলে হাজারের বেশি পড়ুয়া প্রতিদিন আসে যায়, তার সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে। বাসিন্দাদের দাবি, নিয়মিত টাকা তোলে পুলিশ, তাই পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতেই ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে লরিগুলি চলে। সেই গতির জেরেই দুর্ঘটনা।

উত্তেজনা বাড়ে পুলিশের লাঠিচার্জে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মহিলা, শিশু সবাইকেই লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। কোনও মহিলা পুলিশও এলাকায় নেই। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে মহিলা পুলিশ আনানো হয়।

বেহালাবাসীরা অভিযোগ, যে স্কুলে হাজারের বেশি পড়ুয়া প্রতিদিন আসে-যায়, তার সামনে নেই কোনও ট্রাফিক নিরাপত্তা! দেখা মেলেনা কোনও ট্রাফিক পুলিশের। ৭ বছরের সৌরনীল সরকারকে কেন বলি হতে হল, পুলিশের দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিচ্ছেন বেহালার বাসিন্দারা। অভিযোগ যে গাড়িটি মেরে বেরিয়ে গেল, তাকে কি পরের সিগন্যালে আটকাতে পারত না পুলিশ? এক মহিলা বলেন, টাকা খাওয়ার ব্যাপার চলছে। পুলিশ ওদের ধরবে না। চাইলেই পরের সিগন্যালে ধরতে পারত। কী করে বেরিয়ে গেল!’