নিউজ ডেস্ক: ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, যে বা যারা কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপ ভাঙচুর করেছে তাদের এমন শাস্তি হবে যা মনে রাখার মতো। তদন্ত চলছে দোষীরা চিহ্নিত হচ্ছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, বুধবার কুমিল্লায় একটি দুর্গা মণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া হয়। এর জেরে বেশ কয়েকটি মণ্ডপে হামলা হয়। পুলিশ গুলি চালায়। জখম হন কয়েকজম।একইভাবে চাঁদপুরে হামলা রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। ৫ জন মারা যায়।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশের ক্ষতি করতে তৈরি কিছু গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বাংলাদেশের ২৪টি জেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বাহিনীর টহল চলছে। বিভিন্ন এলাকায় হামলা ভাঙচুরের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। যে কোনও মূল্যে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।
গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ জুড়ে জারি হয় সতর্কতা। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক। কোনও স্বার্থান্বেষী মহল, ষড়যন্ত্রকারী বা চক্রান্তকারী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘ধর্মকে ব্যবহার করে যারা সহিংসতা’ সৃষ্টি করছে, তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা দুর্গাপূজা মণ্ডপে হামলার কড়া নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “প্রতিবেশি ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছে। তাদের কথা আমরা সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।” তিনি আরও বলেন “সেখানেও এমন কিছু যেন না করা হয় যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে। আর আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আসে,”।