Bangladesh: ‘ধর্মীয় গুজব’ ছড়িয়ে বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে হামলা, ফের ‘গুলি’ নিহত তিন

নিউজ ডেস্ক: কোনোওভাবেই গুজব রুখতে পারা যাচ্ছেনা। সোশ্যাল সাইটে ধর্মীয় উস্কানিমূলক ছবি ও বার্তার জেরে বাংলাদেশের কুমিল্লা পর এবার চাঁদপুর রক্তাক্ত। স্থানীয় একটি মন্দিরে হামলার…

temple attacked in Chandpur

নিউজ ডেস্ক: কোনোওভাবেই গুজব রুখতে পারা যাচ্ছেনা। সোশ্যাল সাইটে ধর্মীয় উস্কানিমূলক ছবি ও বার্তার জেরে বাংলাদেশের কুমিল্লা পর এবার চাঁদপুর রক্তাক্ত। স্থানীয় একটি মন্দিরে হামলার চালানো হয়। হামলাকারীদের রুখতে কড়া ভূমিকা নেয় পুলিশ। ‘গুলি’ লেগে ৩ জন মৃত।

বুধবার দিনভর কুমিল্লা ছিল উত্তপ্ত। স্থানীয় নুনুয়ারদিঘি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রাখা নিয়ে ধর্মীয় গুজব ছড়ায়। আক্রান্ত হয় একাধিক মণ্ডপ। পুলিশ ও প্রশাসন কড়া হাতে হামলাকারীদের দমন করে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে জানা যায় এই ঘটনা ছিল ধর্মীয় ষড়যন্ত্র।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এদিকে কুমিল্লা থেকে গুজব সোশ্যাল সাইটে ছড়ায় দ্রুত। সন্ধের পর উত্তেজনা তৈরি হয় চাঁদপুরে। জানা গিয়েছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে পুলিশ। হামলাকারীদের রুখতে শক্ত ভূমিকা নেয়। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

https://twitter.com/UnityCouncilBD/status/1448228123556732933?s=20

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা জানান, তিনজনের মৃতদেহ এসেছে হাসপাতালে। তবে সংঘর্ষে কারও নিহত হওয়ার বিষয়ে পুলিশ নীরব। মন্দিরে হামলা হয়েছে বলে হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহিদাস বণিক জানিয়েছেন। তিনি জানান, আরও কয়েকটি স্থানে মন্দিরে হামলা হয়েছে।

কুমিল্লার পরিস্থিতি থমথমে। চাঁদপুরও থমথমে। ধর্মীয় উস্কানিমূলক বার্তা কেমন করে ছড়িয়েছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন কুমিল্লার কয়েকজন মুসলিম যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা তুলে ধরেন দুর্গা মণ্ডপে কেমন করে হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রকের জরুরি ঘোষণায় বলা হয়েছে, “কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।”