২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বাংলাপক্ষ। ২৬শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালন করা হয়। বাংলার নবজাগরণের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কেবল নবজাগরণের একজন কাণ্ডারীই নন, বরং গোটা ভারতবর্ষে চিন্তন এবং মননের পরিসরে আধুনিকতার পথপ্রদর্শক। বাংলাপক্ষের দাবি অনুযায়ী, তিনি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জাতির শিক্ষক, কারণ আজও বাঙালির ঘরের সন্তানরা তাঁর বর্ণপরিচয়ের মাধ্যমে অক্ষর জ্ঞান লাভ করে।
এই বিষয়টিকে অনুধাবন করে বাংলা পক্ষ সংগঠনের তরফে বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে যাতে, ২৬শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটিকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলা পক্ষর এই দাবিপত্রে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার প্রথিতযশা ব্যক্তিরা। কবি, সাহিত্যিক, অভিনেতা, উপাচার্য, পরিচালক, প্রযোজক, সঙ্গীতশিল্পী, নাট্যকার, যন্ত্রশিল্পী, আবৃত্তিকার, বাচিকশিল্পী, অর্থনীতিবীদ, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক থেকে শুরু করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বাংলার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা এই দাবিপত্রে সমর্থন জানিয়েছেন।
সম্মতি জানিয়েছেন কবি জয় গোস্বামী, পবিত্র সরকার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জয়া মিত্র, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, তপোধীর ভট্টাচার্য, সবুজকলি সেন, গৌরব চক্রবর্তী, সৃজিত মুখার্জী, উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়, রানা সরকার, সুবোধ সরকার, রূপম ইসলাম , শ্রীজাত বন্ধ্যোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচী, জয় সরকার, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, তথাগত মুখার্জী, রাহুল অরুনোদয় ব্যানার্জী, অয়ন চক্রবর্তী, সৌম্য সেনগুপ্ত, অনির্বাণ মাইতি, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, অরূপ শঙ্কর মৈত্র, ব্রত চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব পাল, দেবারতি মুখোপাধ্যায়, সোহম মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত জানা, সৌমিত্র রায়, শুভেন্দু মাইতি, অনুরাধা পাত্র, উজ্জয়িনী ভট্টাচার্য, ইমন সেন, অমর মিত্র, সৌভিক রাজ, দীপাঞ্জন দাস, হিমাংশু দাস।