UGC-এর আঞ্চলিক কমিটিতে নেই কোনও বাঙালি, প্রতিবাদে নামল বাংলাপক্ষ

বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত UGC র কোনো আঞ্চলিক কমিটিতে বাংলা থেকে কাউকে রাখেনি। এতে বাংলা ও বাঙালির প্রতি ঘৃণা স্পষ্ট। দিল্লির দ্বারা…

Bangla pokkho protest against UGC

বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত UGC র কোনো আঞ্চলিক কমিটিতে বাংলা থেকে কাউকে রাখেনি। এতে বাংলা ও বাঙালির প্রতি ঘৃণা স্পষ্ট। দিল্লির দ্বারা বাংলা ও বাঙালিকে বঞ্চিত করার নজির রোজ স্পষ্ট হচ্ছে বলে জানাচ্ছে বাংলাপক্ষ।

তাঁরা বলছেন যে, “যেখানে ভারতের দুটো সর্বশ্রেষ্ঠ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় বাংলায় (যাদবপুর ও কলকাতা), সেখান থেকেও কাউকে রাখা হয়নি।” এর বিরুদ্ধে ৩০ শে ডিসেম্বর, দুপুর ৩ টায় চিংড়িঘাটার পাশে UGC র Regional Office এ বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ কর্মসূচী এবং শেষে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনার শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, সৌম্য বেরা, প্রীতি মিত্র, কৌশল দাস, সঞ্চয়িতা হালদার, সিদ্ধার্থ দাস, মামুদ প্রমুখ। কৌশিক মাইতি, পিন্টু রায়, প্রবাল চক্রবর্তী- এই তিনজনের প্রতিনিধি দল UGC এর Eastern Regional Office এর Deputy Secretary Dr. Amol M. Andhare এর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং স্পষ্ট ভাবে দাবি করা হয় যাতে এই বাঙালি বিদ্বেষী কমিটি বাতিল করা হয়। পরিষ্কার করে বাংলা ও বাঙালির ক্ষোভের কথা জানানো হয়। তিনি কথা দেন যে, তিনি বাংলা পক্ষর এই ক্ষোভের কথা, বাঙালির এই বঞ্চনার কথা দিল্লিতে UGC কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

কৌশিক মাইতি বলেন, “আমরা UGC র পূর্বাঞ্চলীয় কমিটি দেখে স্তম্ভিত। পূর্বাঞ্চলীয় কমিটিতে বাংলার কোনো প্রতিনিধি নেই! ভারতের শ্রেষ্ঠ দুটো রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরও বাংলার ৪০ টা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি নেই! ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই৷ বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালির শত্রু। UGC ও এতটা বাঙালি বিদ্বেষী? হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র আর কত রকম ভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করবে? বাংলা পক্ষ লড়ছে। এই লড়াই আমরা জিতবো। নাহলে লড়াই তীব্রতর হবে। বাঙালির এই বঞ্চনা, এই বাঙালি বিদ্বেষ আমরা মানবো না।”