তিস্তা জলবন্টন চুক্তি, বাংলাদেশে বাঙালির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব বাংলাপক্ষ

ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার একাধিক বিষয় নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৌ চুক্তি অবধি হয়। এই চুক্তির মধ্যে তিস্তা…

ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার একাধিক বিষয় নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৌ চুক্তি অবধি হয়। এই চুক্তির মধ্যে তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিস্তা জল বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করে পথে নামলো বাংলা পক্ষ।

মঙ্গলবার বাংলা পক্ষ-র তরফে কলকাতার রবীন্দ্র সদন-নন্দন প্রাঙ্গণে রাণুছায়া মঞ্চে এই চুক্তির বিরুদ্ধে এক পথ সভার আয়োজন করা হয়। পথ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি।

গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত বছরে এই রকম অনেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিয়ে রক্তাক্ত শারদ নিয়ে তাদের ফেসবুকের ডিপি করেছিল। সেটা ছিল তাদের ভোটের কাঁচামাল। কিন্তু বাঙালি আক্রান্ত হলে আমদের বুকে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে। এখন হাসিনা দিল্লিতে এসেছে, শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তরা কেন তার সামনে গিয়ে হিন্দু বাঙালির উপর নিপীড়নের বিরোধিতা করছে না? তাদের গুজরাটি প্রভুদের বেওসা নষ্ট হওয়ার ভয়ে?”

তিনি বলেন “বুক চিরে রক্ত দেবো, তিস্তার জল দেবো না। উত্তর দিকের জেলাগুলি শুকিয়ে যাবে। এর পিছনে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করার চক্রান্ত কাজ করছে।” তিনি বলেন, “ভারতের সাহায্য পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন বিজেপির মেকি বাংলাদেশের হিন্দু বাঙালি প্রেমের মুখোশ খুলে গেছে।”

কৌশিক মাইতি বলেন, “তিস্তার জল বন্টন করা যাবে না। বিজেপির অবস্থানকে কটাক্ষ করে বলেন হিন্দু প্রেমী বলে দাবি করা বিজেপি নেতারা এখন চুপ কেন?” তিনি বলেন, “কলকাতা বন্দরকে ব্রাত্য করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মাল পরিবহন করছে যার প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে ভারত সরকার। এত বাংলাদেশ প্রেম কেন? কলকাতা বন্দর ধ্বংস করে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার কার স্বার্থে? বাঙালি আজ জানতে চায়।”

তিনি বাংলার বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “যদি আপনারা হিন্দু প্রেমী হোনন তাহলে এখন দিল্লিতে থাকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কেন এই বিষয়ে অবহিত করছেন না?”
তিনি বলেন বাংলা পক্ষ একমাত্র সংগঠন যারা আজকে পথে নেমেছে প্রস্তাবিত ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি বাতিলের দাবিতে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার জেলা সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, উত্তর চব্বিশ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, দক্ষিণ চব্বিশের সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার সহ অন্যান্যরা।