Attack on ED: মমতাকে ‘কিম জং উন’-র সঙ্গে তুলনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা (Attack on ED) নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য।এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার মমতা…

Union Minister Giriraj Singh compared Mamata with 'Kim Jong Un'

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা (Attack on ED) নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য।এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার মমতা সরকারকে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সরকারের সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।

রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) একটি দলের ওপর হামলার একদিন পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মনে হচ্ছে সেখানে কিম জং উনের সরকার চলছে। (কংগ্রেস নেতা) অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, খুন হলেও তা নতুন কিছু নয়। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণতন্ত্র,”

   

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে আক্রান্ত হতে হয়েছে ইডি-কে। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যখন ইডি আধিকারিকরা যায়, তখন একদল লোক এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আক্রমণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে আঘাতে মাথা ফেটে যায় দুই আধিকারিকের। বহু লোক এক জায়গায় জড় হয়েছিল, যাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন মহিলারা। সিআরপিএফ জওয়ানদের পর্যন্ত তোয়াক্কা করেনি ওই সব লোকজন। আহত আধিকারিককে সল্টলেকের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।

শুক্রবার ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “হিংসা বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সন্দেশখালিতে যে অনভিপ্রেত ও নজিরবিহীন হামলা হয়েছে ইডির উপর, তা ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন রাজ্যপাল বোস।

এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে দুষ্কৃতি তাণ্ডব হয়েছে। চোর মমতার প্রিয় পাত্র শেখ শাহাজাহান। মমতার পুলিশ হয়তো জানতে পেরেছিল যে, তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে ইডি যাচ্ছে। তাই বাঁচাতে এ সব করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, পশ্চিমবঙ্গে কেউ সুরক্ষিত নেই। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। এমনকি রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধও করেন।