High Court: রাজনৈতিক নেতা বলেই কি এডভেন্টেজ নিতে চাইছেন অনুব্রত

গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সিবিআই রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হল। শুক্রবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষের আইনজীবী কিশোর দত্ত এবং…

গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সিবিআই রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হল। শুক্রবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষের আইনজীবী কিশোর দত্ত এবং সন্দীপ গাঙ্গুলি জানান, ‘কেন সিবিআই নোটিশ চ্যালেঞ্জ ।’ অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং করোনা পরিস্থিতির জন্য আমি যেতে পারছি না।’

এরপর সিবিআই বীরভূমের এই দাপুটে নেতাকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠায়। ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নোটিশ পরিপেক্ষিতে অনুব্রতকে রক্ষা কবচ দেয় হাই কোর্ট। এর পরে তাকে আর নোটিশ দেওয়া হয়নি। ২ ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এর পরেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ফের নোটিশ দেওয়া হয়। ৪ঠা মার্চ ফের নিজাম প্যালেসে আসার জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই।
তখন তিনি জানান। ‘আমি অসুস্থ, চিকিৎসা চলছে বলে সিবিআইকে জানিয়েছিলাম। আমার পক্ষে কলকাতা য় যাওয়া সম্ভব নয়।আমি ভিডিও কনফারেন্সে করতে পারি।’

এদিকে অনুব্রতর তরফের আইনজীবী বলেন, সিবিআই নতুন কোনও মামলায় তলব করলে সেক্ষেত্রে ভাবা যেত তদন্ত চলছে। কিন্তু ২০১৯ সালের একটি পুরোনো মামলা য় তাঁকে ডাকা হচ্ছে

এ বিষয়ে বিচারপতি প্রশ্ন তলেন, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল মূল অভিযুক্ত নয়, তাহলে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে সমস্যা কোথায়। যদি মনে হয় সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেফতার করতে পারে তাহলে কেন তিনি আগাম জামিনের আবেদন করছেন না। অনুব্রতএকজন রাজনৈতিক নেতা বলেই কি এডভেন্টেজ নিতে চাইছেন ? যদি তা না হয় তাহলে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরের হাজিরা দিচ্ছেন না কেন? তিনি কি একদমই বাড়ির বাইরে বেরোন না?’