হেরেই ফোঁস রাজমাতার! বিজেপির বিরুদ্ধেই করলেন টাকা হাতানোর অভিযোগ

একে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের মুখে বিজেপির নেতৃত্বদের নাম! সবাই মোটামুটি দোষ চাপিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের ঘাড়ে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই মুখ খুলেছিলেন দিলীপ…

amrita roy bjp

একে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের মুখে বিজেপির নেতৃত্বদের নাম! সবাই মোটামুটি দোষ চাপিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের ঘাড়ে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই মুখ খুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই দলে নাম লিখিয়েছেন বেশ কিছু জয়ী প্রার্থীও। এইবার ভোটে হেরে রাজ্য নেতৃত্বদের দায়ী করলেন কৃষ্ণনগরের ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়। শুধু তাই নয়, প্রচারের টাকা সরিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বদের একাংশও বলেও তিনি দাবি করেন। তাঁর আরও দাবি তিনি যদি নিজের বুদ্ধিতে চলতেন তাহলে তিনি আরও ভাল ফল করতেন।

একটি সর্বভারতীয় বাংলা দৈনিকের অনলাইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের কথায় গোটা কর্মসূচী সাজিয়েছেন। যেখানে যেখানে যেতে বলেছেন সেইখানেই গিয়েছেন এবং রাত অবধি প্রচার সেরেছেন। তাঁর দাবি তিনি যদি গোটা প্রচার প্রক্রিয়া নিজের মতো করে চালাতেন তাহলে তিনি জয়ী হতেন। প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগরে এইবার প্রেস্টিজ ফাইটে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর কাছে তিনি ৫৭০০০ হাজার ভোটে হেরেছেন।

   

ওই সংবাদমাধ্যমের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, প্রচারে আসা টাকা হাতিয়েছেন বিজেপির কিছু উপর সারির নেতা। যদিও এই বিষয়ে রাজমাতা একটি তালিকা তৈরি করেছেন এবং খুব তাড়াতাড়ি সেই তালিকা দিল্লির নেতৃত্বদের কাছে তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয় কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির নাম ভোটের প্রচারে ব্যবহার করে রাজবাড়ির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজমাতার এক ঘনিষ্ঠ।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, হেরে যাওয়ার পরেই কি সব বিজেপি নেতাদের রোষের মুখে শুভেন্দু অধিকারী? প্রসঙ্গত তাঁর হাত ধরেই রাজমাতার বিজেপিতে যোগদান এবং বিজেপির টিকিটে লড়াই করা। বাংলার প্রায় অর্ধেকের বেশী প্রার্থীই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। এই আবহে কি ফের একবার তাঁর দিকেই আঙুল তুলল রাজমাতা অমৃতা রায়, উঠেছে প্রশ্ন।