Nusrat Jahan: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, নুসরতের থেকে দূরত্ব রাখছেন মমতা

তণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দলীয় সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) থেকে দূরত্ব রাখছেন? কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত বসিরহাটের সাংসদ নুসরত।

mamata-with-nusrat

তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দলীয় সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) থেকে দূরত্ব রাখছেন? কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত বসিরহাটের সাংসদ নুসরত। অভিযোগের জবাব দিতে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে মেজাজ হারিয়ে উঠে যান তিনি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও অভিযুক্ত সংস্থার সাথে যোগ ছিল তা স্বীকার করেছেন সাংসদ। তাঁর বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি আসেনি। তবে দলনেত্রী মমতা বলেছেন, নুসরতের কেস নুসরত জবাব দেবে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর নুসরতের সাথে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জেলে যাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় পদ ও মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েছেন মমতা। তবে গোরু পাচার তদন্তে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূম জেলার দলীয় সভাপতি রেখে দিয়েছেন মমতা। এবার নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে মমতার অবস্থান নিয়ে চর্চা তীব্র।

প্রেস কনফারেন্সে আজ মুখ্যমন্ত্রীকে নুসরাত জাহান বিতর্কিত মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মুখে কুলু আটেন। তিনি বলেন যাচাই করে কেনা উচিত ছিল। রীতিমতো প্রতারিতদের দিকে দায় চাপান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন বিজ্ঞাপন দেখে কেনা উচিত নয়।

ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। সাংসদের বিরুদ্ধে কুড়ি কোটি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগকারীদের নিয়ে গতকাল ইডির কাছে নালিশ জানায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন নুসরত জাহান। তিনি জানিয়েছেন ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন’।

তৃণমূল সাংসদ নুসরত বলেন, “যে কোম্পানির নামে অভিযোগ সেই কোম্পানি থেকে আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ইস্তফা দিয়েছি। ওই সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে মে মাসে সেই ঋণ আমি সুদ সহ শোধ করে দিয়েছি”।

এর সঙ্গে তিনি আরো বলেন, ” যারা ভুল করে যাদের ভয় থাকে তারা ব্যাখ্যা দেয়। এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয় আইনত পদক্ষেপ হোক। আইন আইনের পথে চলবে। আদালতে প্রুফ জমা দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। ওই সংস্থার কোনও শেয়ার আমার নেই। “

৪২৯ জনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে নুসরতের বিরুদ্ধে।অভিযোগকারীরা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে টাকা দিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ সেই টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কিনেছেন কোম্পানির ডিরেক্টররা। অভিযোগ ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ। নুসরতের নামে অভিযোগ করে ইডির কাছে তদন্তের দাবি করা হয়।