স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নথি এবার সিবিআইয়ের নজরে৷ মধ্যধিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ সঠিকভাবে হয়েছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ জাগছে সিবিআইয়ের মনে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, সভাপতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এবং মেয়াদকাল সহ একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা৷
গত ১৬ জুন ডিরোজিও ভবনে হঠাৎ হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা৷ একাধিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এডমিন পারমিতা রায় সহ আধিকারিকদের৷ বাদ যায়নি কর্মচারীরা। সেদিনেই একাধিক তলব করা হয় পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি হাজিরা না হতেই সোজা তাঁর কাদাপাড়ার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷
বাড়ি থেকে বিকেল ৫ টা নাগাদ নজরবন্দি করে সভাপতিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে আসে সিবিআই৷ তারপর থেকেই সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ সংক্রান্ত নথি৷
কারণ, আরকে বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি আদালতকে জানিয়েছে, পর্ষদের সভাপতি বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি করাতেন রাজেশ লায়েক নামে এক কর্মীকে দিয়ে৷ তখন সিবিআইয়ের নজরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের গতিবিধি। উপদেষ্টা কমিটির ৫ সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেই তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পর্ষদে পাঠিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, কতজনকে গ্রুপ সি পদে নিয়োগপত্র দিয়েছে পর্ষদ? স্কুল শিক্ষাকর্মী নিয়োগের অধিকার পর্ষদ সভাপতির রয়েছে কি না? সভাপতির নিয়োগের অধিকার সংক্রান্ত গেজেট নোটিফিকেশনের সার্টিফায়েড কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবারের মধ্যে উপযুক্ত তথ্য, প্রমাণ সহ সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে পর্ষদের অফিসে শনিবার এবং রবিবার তৎপরতা বেড়েছে৷