পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম! ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হাওড়া

ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হাওড়া। ভোটের পরেই হিংসায় জন্য একটি গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। এমনই ভয়ানক ঘটনা ঘটল হাওড়ার পাঁচলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া…

howrah

ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হাওড়া। ভোটের পরেই হিংসায় জন্য একটি গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। এমনই ভয়ানক ঘটনা ঘটল হাওড়ার পাঁচলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া লোকসভায় ভোট-পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২০০ জন ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। সোমবার ভোট-পর্ব মেটার পরেই পাঁচলা বিধানসভার বেলডুবি গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য।

বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়ায় ভোটের দিন তাদের দুই পোলিং এজেন্টকে মারধর করা হয়। এরপর রাতে তাঁদের বাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হন বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। ভয়ে গ্রামছাড়া হয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। কার্যত মারধরের আতঙ্কেই বাড়ির পুরুষেরা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। পঞ্চম দফা ভোটে গত ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন পাঁচলা বেলডুবি উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ এবং ৭০ নম্বর বুথে দুপুর তিনটে নাগাদ গন্ডগোল হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই বুথের বিজেপির দুজন এজেন্ট তৃণমূল কংগ্রেসের ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করায় তাদের বুথের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করা হয়।

   

এখানেই শেষ নয়, পাল্টা অভিযোগ যদিও ওই ২ তৃণমূল নেতা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভোটের দিনে বুথে ছোটখাটো গন্ডগোল হয়েছিল। পরে তা মিটে যায়। তবে বিজেপি কর্মীরা তার বাড়িতে রাতে ইট ছোড়ে। সেই কারণেই পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দেয়। তারা নিজেরাই জঙ্গলে আছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

এই ঘটনায় শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ বাড়িতে চড়াও হয়ে পুরুষদের বেধড়ক মারধর এবং ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এমনকি রাতেও এলাকায় বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে। আতঙ্কে ওইসব পরিবারের পুরুষ সদস্যরা এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। তারা এই মুহূর্তে কাছেই জঙ্গলের মধ্যে রয়েছেন। ঘরে ফিরতে পারছেন না।