কলকাতার বুকে ভ্রমণের নতুন ঠিকানা ‘আলিপুর জেল’

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তো রয়েইছে, বা তবে সারা বছর ধরেই এদিক ওদিক ঘুরে আসা চলতেই থাকে। দুর্গোৎসব দিন কয়েক মিটেছে। এখন চলছে অক্টোবর…

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তো রয়েইছে, বা তবে সারা বছর ধরেই এদিক ওদিক ঘুরে আসা চলতেই থাকে। দুর্গোৎসব দিন কয়েক মিটেছে। এখন চলছে অক্টোবর মাস, ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। কালীপুজো কাটতে না কাটতেই আবহাওয়া জানান দেবে শীতকাল আসন্ন।

আর বাঙালিদের শীতকাল মানেই প্রচুর ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, পিকনিক, আড্ডা-আনন্দ আর উৎসবযাপন। আর এই ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া বলতেই প্রাথমিকভাবে যে জায়গাগুলির নাম মাথায় আসে তা হল চিড়িয়াখানা, নিকো পার্ক, ইকো পার্ক, ময়দান, সায়েন্স সিটি, ব্যান্ডেল চার্চ, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি প্রভৃতি স্থান। কিন্তু, এবছর কলকাতা বাসীদের জন্য আরও একটি সুখবর। কলকাতা ভ্রমণের এতগুলি স্থানের সাথে একই সারিতে এসে উপস্থিত আরও একটি নতুন ভ্রমণ স্থান। আলিপুর জেল এখন মিউজিয়াম।

সবে কিছুদিন মাত্র উদ্বোধন হয়েছে, সাধারণ মানুষের ভ্রমণের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে আলিপুর জেলের। এই জেল মূলত ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এই জেল কিছু সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এখন থেকে তা ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম ঠিকানা হয়ে উঠবে।

 এই জেল ব্রিটিশ রাজত্বের সময় তাদের অধীনে ছিল। এই জেলের ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন দীনেশ মজুমদার, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ গুপ্ত ও আরও অনেকে। বর্তমানে এই জেলের বন্দীদের রাখা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই সংশোধনাগার সর্বসাধারণের জন্য মিউজিমাকারে খোলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রতিদিন একটি করে লাইট এন্ড সাউন্ড শোয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই শোতে দেখা যাবে, কিভাবে ভারতবর্ষের বিপ্লবীরা নিজেদের জীবন বলিদান দিয়ে দেশের জন্য স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। এই মিউজিয়ামে থাকবে কফি স্টল, নানা ধরনের খাবার স্টল, ভিন্ন দর্শনীয় স্থান, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি। আশা করা যায়, এই স্থান শুধু শীতকালের জন্য নয় বরং সারাবছরই এই কারাগারে থাকবে বহু মানুষের আনাগোনা।