Weather Update: শনিবার রাত থেকে কলকাতায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ

আজ শনিবার বিকেলার দিকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে শনিবার রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সকালে কলকাতার…

আজ শনিবার বিকেলার দিকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে শনিবার রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৮ থেকে ৯০ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় ২.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৭ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। কলকাতায় মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর-সহ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্নাবর্ত তৈরি হবে ১৬ জুলাই রবিবার।

উত্তরবঙ্গে আজ থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি পাঁচ জেলায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অপরদিকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া মোরগ জানাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হবে। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শনিবার ও রবিবার। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

তবে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। তিস্তা তোর্সা জলঢাকা নদীতে জল বিপদসীমা ছাড়াতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির ফলে পরবর্তী ২-৩ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিপ্রবল বৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি সব জেলায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই নাগাদ পশ্চিম মধ্য এবং সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে নিম্নচাপ প্রভাবে ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।