Baharampur: বহরমপুরে এবার কি কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে অধীর?

বেশ কয়েক বছর ধরেই অধীরকে হারানোর জন্য মুর্শিদাবাদে শক্ত দল গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে অনেকটা সফল তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে মুসলিম…

aadhir ranjan

বেশ কয়েক বছর ধরেই অধীরকে হারানোর জন্য মুর্শিদাবাদে শক্ত দল গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে অনেকটা সফল তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে মুসলিম তাস খেলে অধীরের বিরুদ্ধে মমতা প্রার্থী করলেন বিশ্বকাপ বিজয়ী ইউসুফ পাঠানকে। অধীরের নামে সেভাবে দেওয়াল লিখনও নেই। আয়কর দপ্তর নির্বাচনের আগে সুকৌশলে কংগ্রেসের কয়েকটি একাউন্ট লক করে দিয়েছে। ফলে খুবই খারাপ আর্থিক অবস্থা অধীর চৌধুরীর। বিজেপি এখানে ফ্যাক্টর নয়। লড়াই হবে অধীর–ইউসুফের মধ্যে। ইউসুফ পাঠানের সভায় মারাত্মক ভিড় হচ্ছে। মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখা করছেন। তার মধ্যেই নানা মানুষ তাঁর সঙ্গে এসে দেখা করছেন। ওখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন পাঠান। দেওয়াল লিখন থেকে সভা–সমাবেশ, রোড–শো করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইউসুফ। সেখানে এই ঘটনা অধীরকে নিঃসন্দেহে অক্সিজেন দিচ্ছে। সুতরাং হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বহরমপুরে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ‘রবিনহুড’ হিসেবেই পরিচিত অধীর চৌধুরী। তাই তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পেরেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উল্টোদিকে পাঠান মাঠ ছাড়তে নারাজ।

সাধারণ মানুষের কাজ করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন অধীর। বহরমপুর হয়ে ওঠে অধীর গড়। একুশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল। এটাই ছিল তৃণমূলের সদর্থক দিক। তবে অধীরের প্রতি ভালবাসা কমেনি সেটা প্রমাণ হল নীলমণি মণ্ডলদের উদ্যোগে। বহরমপুরের কান্দি থানার রণগ্রাম এলাকার এই মহিলাদের নিজেদের সংসার চলে টানাটানি করে। সেখানে দিনমজুর পরিবারের গৃহবধূরা ছাগল পালন করেন। এই অবস্থাতেও ১১ জন মহিলা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ তুলে দিলেন অধীরের হাতে। রবিবার দুপুরে অধীর চৌধুরীর হাতে নগদ ১১ হাজার টাকা তুলে দেন তাঁরা।

   

নীলমণি মণ্ডল বলেন,‘আমাদের মনে হয়েছিল দাদাকে সাহায্য় করা উচিত। তাই আমরা মা–বোনেরা ঠিক করি কিছু টাকা জোগাড় করে দাদার হাতে তুলে দেব। আমরা দাদার সঙ্গে দেখা করে এই টাকা দিতে পারায় খুব খুশি। উনি আমাদের জন্য অনেক করেছেন। সেখানে গ্রামেই কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন হয়নি।’ আর আবেগঘন অধীর বলেন, ‘এঁরাই ভাল কাজ করার শক্তি জুগিয়ে থাকেন। চুরির টাকায় আমাদের দল চলে না।’