শনিবার রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও

একুশে জুলাই রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা বারো ঘণ্টা গণ ঘেরাও…

একুশে জুলাই রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা বারো ঘণ্টা গণ ঘেরাও ডাক দিলেন তিনি।বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বাড়িও ঘেরাও হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি নেতাদের গণ ঘেরাও ডাক দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘেরা়ও হবে শান্তিপূর্ণ।

তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘেরাও চলাকালীন কোনও বিজেপি নেতা ঘর ঢুকতে বা বের হতে পারবেন না। অসুস্থদের সবরকম সাহায্য করা হবে।

   

এছাড়াও তিনি বলেন, রাজ্যের পাওনা দাবি আদায়ের জন্য দিল্লি যেতে হবে। আগামী গান্ধী জন্ম জয়ন্তীতে দিল্লি চলো আহ্বান জানান অভিষেক। তিনি বলেন রাজ্য থেকে জনগন যাবেন দিল্লিতে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন।

নিয়োগ দুর্নীতি, গোরু পাচার, কয়লা পাচার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জর্জরিত শাসকদল তৃণমূল। জেরা এড়িয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আইনজীবীরা বলছেন, ফের জেরার মুখোমুখি হতে পারেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।

আরও অনেকে আছেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে। তারা কি গতবারের মতো এবারও একুশের পরেই বিশেষ সক্রিয় হবে? একুশ জুলাই সমাবেশে জমাট হয়ে আছে বাইশের ভয়।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল বিপুল জয় পেয়েছে। তবে ভোট লুঠ ও রক্তাক্ত পরিবেশে রাজ্য সরগরম। ভোটের ফলাফলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এর জেরে প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের পর ২১ জুলাই সমাবেশে যোগ দিতে জেলাগুলি থেকে এসেছেন সমর্থকরা।