গৃহস্থের গ্যাস বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার রুখতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের, এবার কি কি করতে হবে? জেনে নিন

গৃহস্থের গ্যাস অনেক সময়ই বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়। একাধিকবার নানান ক্ষেত্রে উঠেছে এমন অভিযোগ। এতে সমস্যা বেড়েছে গ্রাহক ও পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাকে। তাই সেই…

LPG gas

গৃহস্থের গ্যাস অনেক সময়ই বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়। একাধিকবার নানান ক্ষেত্রে উঠেছে এমন অভিযোগ। এতে সমস্যা বেড়েছে গ্রাহক ও পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাকে। তাই সেই সমস্যা দূর করতে এবার নয়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। গ্রাহকদের আধার কার্ড (Aadhar Card) নম্বর ও বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করার কাজ শুরু করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

আলু ৪০, পেঁয়াজ ৪৫, বেগুন ১৩০ – জেনে নিন আজকের বাজারদর

   

নজরদারির অভাবকেই এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন এলপিজি (LPG Cylinder) গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটারেরা। তাঁদের বক্তব্য, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ডিজেল, পেট্রোল বা এলপিজি (LPG Cylinder) বরাদ্দ করে ঠিকই। কিন্তু সেই বরাদ্দ কোন রাজ্যে কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে কোনও নজরদারি নেই। তাই গৃহস্থের জন্য বরাদ্দ এলপিজি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই অভিযোগের কারণেই গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর-সহ বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করার কাজ হচ্ছে। সব তথ্য হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। যদিও ভর্তুকি পাওয়া উপভোক্তাদের এমনিতেই এলপিজি সংযোগের সঙ্গে আধার লিঙ্ক রয়েছে। তবে এলপিজির (LPG Cylinder) ব্যবহার কোথায় কীভাবে হচ্ছে, তা জানতেই তার সঙ্গে বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করা হচ্ছে।

দিনের ব্যস্ত সময়েও চলছে ৯ বগির ট্রেন, ক্ষুব্ধ শিয়ালদহের যাত্রীরা

যাবতীয় তথ্য হাতে এলে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তা জানা অনেক সহজ হবে। তবে কোনও গ্রাহক যদি সিলিন্ডার-পিছু ১৯ টাকা ভর্তুকি ছেড়ে দেন তাহলে ডিস্ট্রিবিউটারদের তাহল গি আপ ফর্মের মাধ্যমে জানাতে হবে সংস্থাকে। তা হলে ওই সমস্ত গ্রাহকদের বায়োমেট্রিকের প্রয়োজন হবে না বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের বার্তা পেয়েই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটারেরা নিজেদের উদ্যোগে বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সিলিন্ডার যার নামে নথিভুক্ত। সেই ব্যক্তি হয়তো বেঁচে নেই। অথচ তাঁর পরিবার সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা দেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরে। সেই সিলিন্ডারগুলিকেই আবার বানিজ্যিক কাজে লাগানো হচ্ছে। এই সমস্ত অনিয়ম খুঁজে বের করতে তত্পরতা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটারেরা।

গুগলের বিজ্ঞাপনে ১১৬ কোটি খরচ বিজেপির, কয়েক যোজন পিছিয়ে কংগ্রেস

এদিকে ‘অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন’-এর সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস অবশ্য ঘরোয়া এলপিজি রান্নার গ্যাসের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার রুখতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই উদ্যোগ ‘যথেষ্ট নয়’ বলেই মনে করছেন। তিনি বলেন, গত আট মাসে রাজ্যের ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে আধার ও বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করা হয়েছে। কিন্তু তবুও জালিয়াতি ও অনিয়ম রোখা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নীতি ও আইন।