Digha: হাঁটুর বয়সী স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে দীঘায়, বাঙালি গৃহবধূর ঠাঁই হলো গারদে

হাঁটুর বয়সী নবম শ্রেণীর পড়ুয়াকে নিয়ে দীঘায় গিয়ে বিপাকে পড়লেন বাঙালি গৃহবধূ। প্রথম বেশ কিছুদিন বহাল তবিয়তে চললেও তারপরেই সমস্যার সূত্রপাত। গচ্ছিত টাকা শেষ হয়ে…

হাঁটুর বয়সী নবম শ্রেণীর পড়ুয়াকে নিয়ে দীঘায় গিয়ে বিপাকে পড়লেন বাঙালি গৃহবধূ। প্রথম বেশ কিছুদিন বহাল তবিয়তে চললেও তারপরেই সমস্যার সূত্রপাত। গচ্ছিত টাকা শেষ হয়ে যেতেই চরম বিপদে পড়ে দুই অসম বয়সী যুগল। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কিছুদিন নাকি দীঘায় হোটেলে কাজও করেন হোটেল ভাড়ার টাকা মেটানোর জন্য তবুও বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু অবশেষে দ্বারস্থ হতে হয় বাড়ির লোকের কাছেই। ওই নাবালক পড়ুয়ার বাড়ির লোকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শেষে গারদে ঠাঁই ওই বধূর।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ে দিঘা গিয়েছিলেন ২৬ বছরের বধূ। বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাসিন্দা ওই নাবালক। তার বাবা জানান, বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে এক সপ্তাহ আগে বের হয় ছেলে। তার পর আর ফেরেনি। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। বন্ধু থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন সকলের কাছেই খোঁজ নেওয়া হয়। ফোন বন্ধ হওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হয়নি। থানায় জানানোও হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা যায়। কিছুতেই ছেলের খোঁজ পাওয়া যায় না।

   

অবশেষে দিন দশেক পরে ছেলে ফোন করে জানায় সে এক গৃহবধূর সঙ্গে দীঘায় আছে এবং তার পকেটে একটিও পয়সা নেই। হোটেলের বিলও বাকি। এই অবস্থায় ওই নাবালকের বাবা তাকে বাড়ি ফিরতে নির্দেশ দেয় এবং হোটেলের সব বিল মিটিয়েও দেওয়ার কথা বলে। তারপরেই ওই বধূর সঙ্গে হাওড়ায় ফেরে ওই নাবালক। পুলিশ নাবালককে অপহরণের অভিযোগে ওই বধূকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে এক নাবালককে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। এই দিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।