কলকাতা: ভারতের নগরজীবনে নারী সুরক্ষার বাস্তব চিত্র ফের একবার উঠে এল জাতীয় রিপোর্টে। ন্যাশনাল অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যান্ড ইনডেক্স অন ওমেন্স সেফটি (NARI) ২০২৫–এর তথ্যে স্পষ্ট, দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত শহরের মর্যাদা পেয়েছে মুম্বই ও কোহিমা। অথচ রাজধানী দিল্লি, সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা এবং বিহারের পটনা নারী সুরক্ষার তালিকায় একেবারে নীচে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অগস্ট) জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয়া রাহাতকার প্রকাশ করেন এই সমীক্ষা। ৩১টি শহরের ১২ হাজার ৭৭০ জন মহিলার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি এই রিপোর্ট দেশের নগর নিরাপত্তার খতিয়ান সামনে আনল।
রিপোর্টের সারকথা
- জাতীয়ভাবে নারী সুরক্ষার গড় হার ৬৫ শতাংশ।
- সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে উঠে এসেছে মুম্বই, কোহিমা, বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর, আইজল, গ্যাংটক ও ইটানগর।
- বিপরীতে সবচেয়ে অসুরক্ষিত শহরগুলির তালিকায় রয়েছে রাঁচি, শ্রীনগর, কলকাতা, দিল্লি, ফরিদাবাদ, পটনা ও জয়পুর।
প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ৬ জন নিজেদের শহরে নিরাপদ মনে করেন। বাকি ৪ জন নিরাপত্তাহীনতা বা আংশিক সুরক্ষা অনুভব করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিনের বেলায় ৮৬ শতাংশ মহিলা সুরক্ষিত মনে করলেও, রাত নামলেই সেই আস্থার চিত্র বদলে যায়। বিশেষত গণপরিবহন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
অভিযোগ ও প্রশাসনের ভূমিকা Women’s safety in India
রিপোর্টে উঠে এসেছে, মাত্র এক চতুর্থাংশ মহিলা অভিযোগ করলে প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া পান। অথচ প্রতি তিনজন মহিলার মধ্যে দুইজনই হেনস্থার শিকার হলেও অভিযোগ জানান না।
যদিও ৬৯ শতাংশ মহিলা মনে করেন সরকারি পদক্ষেপ আংশিক কার্যকর হয়েছে, ৩০ শতাংশ সরাসরি গাফিলতি ও ত্রুটির আঙুল তুলেছেন প্রশাসনের দিকে।
পরিবর্তনের আভাস
প্রতিবেদনে দাবি, গত দুই বছরে নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ মহিলা উন্নতির সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু নিরাপত্তা কাঠামো ও অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছয়নি।
Bharat: A new national report ranks Mumbai and Kohima as India’s safest cities for women, while Delhi, Kolkata, and Patna fall to the bottom. Explore key findings on urban safety, public transport risks, and why most women don’t report harassment.