বন্দেমাতরমের ১৫০ বছরে কি বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

vande-mataram-150-years-amit-shah-celebration-patna

পটনা: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তিতে আজ এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার পাটনায় বিজেপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “‘বন্দে মাতরম’ শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা এবং স্বাধীনতার পর দেশের ঐক্যের প্রতীক।”

Advertisements

অমিত শাহ জানান, ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অক্ষয় নবমীর দিনে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রথমবারের মতো এই গানটি প্রকাশ করেছিলেন। তার রচিত এই অমর সংগীত পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণার মূল উৎসে পরিণত হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই তারিখেই বঙ্কিমবাবু এমন এক গান আমাদের উপহার দিয়েছিলেন, যা শুধু ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই নয়, বরং স্বাধীনতার পরও ভারতকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। ‘বন্দে মাতরম’ আমাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক।”

   

কিছুক্ষনের মধ্যে ২২ গজে ভারত-পাক মহারণ, কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

অমিত শাহের কথায়, “স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত ১১ বছরে। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের যে ভাবনা বিজেপি বরাবর বহন করে এসেছে, ‘বন্দে মাতরম’-ই সেই ভাবনার প্রাণশক্তি।” তিনি আরও জানান, বিজেপি এবার সারাদেশে একটি বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারাভিযান শুরু করবে, যেখানে নাগরিকরা তাঁদের নিজ নিজ ভাষায় ‘বন্দে মাতরম’ লিখে শেয়ার করবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বহুভাষিক ঐক্যের বার্তা আরও দৃঢ়ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

Advertisements

উল্লেখ্য, ‘বন্দে মাতরম’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদিত সাহিত্যপত্র ‘বঙ্গদর্শন’-এ, তাঁর উপন্যাস ‘আনন্দমঠ’-এর অংশ হিসেবে। উপন্যাসের সেই গানই পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে। অমিত শাহ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের উচিত ‘বন্দে মাতরম’-এর ইতিহাস জানা, কারণ এটি শুধু একটি দেশপ্রেমের গান নয়, বরং ভারতের আত্মার প্রতিফলন। যারা আজও দেশের ঐক্য ও সংবিধানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, তাঁদের কাছে এই গান সর্বদা অনুপ্রেরণা।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে.পি. নাড্ডা, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বহু বিশিষ্ট নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।অনুষ্ঠান স্থলে ‘বন্দে মাতরম’ গানের ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ভাষায় গানটির পাঠ অনুষ্ঠিত হয়, যা বহুত্বের মধ্যে ঐক্যের এক অপূর্ব উদাহরণ তৈরি করে। অমিত শাহ শেষ বক্তব্যে বলেন, “যে দিন ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বন্ধ হবে, সেদিন ভারত তার আত্মাকে হারাবে। এই গান আমাদের ঐক্য, আত্মসম্মান ও সংস্কৃতির প্রতীক।”