খুলে রেখে বিক্রি করা যাবে না মাছ, মাংস, ডিমের মত আমিষ জিনিস: ফরমান জারি

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাতের বরোদায় (Vadodara) জারি হল এক নতুন নিয়ম। শুক্রবার বরোদা পুরসভা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাজারে মাছ, মাংস,…

food stalls

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাতের বরোদায় (Vadodara) জারি হল এক নতুন নিয়ম। শুক্রবার বরোদা পুরসভা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাজারে মাছ, মাংস, ডিমের মত আমিষ জিনিস খুলে রেখে বিক্রি করা যাবে না।

১৫ দিনের মধ্যেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। পুরসভার তরফে এই নতুন নির্দেশ জারি করেছেন পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র প্যাটেল (hitendra patel)। চেয়ারম্যান এই নির্দেশের ব্যাপারে বলেছেন, মাছ, মাংস, ডিমের মত আমিষ পদ মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত। তাই এই সমস্ত আমিষ পদ কখনওই খুলে রেখে বিক্রি করা যাবে না। এর আগে গুজরাতের রাজকোট (rajkot) শহরেও একই নির্দেশ জারি হয়েছে।

পুরসভা জানিয়েছে, এই নির্দেশ শুধু বাজারের বিক্রেতাদের জন্য নয়। রেস্তোরাঁ কিংবা রাস্তার পাশের ফুড স্টলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বিক্রেতাদের মনে রাখতে হবে, কোনো আমিষ পদ যেন দৃশ্যমান না হয়। অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিমের যে সমস্ত পদ বিক্রি হবে সেগুলির উপর কোনও কিছু চাপা দিয়ে রাখতে হবে। একই নির্দেশ জারি হয়েছে রাজকোট শহরেও।

এই শহরের মেয়র (mayor) নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত আমিষ পদ ঢেকে রাখতে হবে। পাশাপাশি মেয়র তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, যে সমস্ত ফুডস্টলে আমিষ পদ বিক্রি হবে সেই স্টলগুলি যেন মূল রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা ভিতরের দিকে থাকে। মেয়রের আশঙ্কা, রাস্তার একেবারে ধারে আমিষ পদ বিক্রি করা হলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে।

যথারীতি রাজকোট ও বরোদা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে রাজকোটের মেয়র বলেছেন, রাস্তার পাশে খাবার ঢেকে রাখলে তা স্বাস্থ্যকর থাকে। ধুলোবালি পড়ে না। সেজন্যই তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও সমালোচকরা নতুন এক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, স্বাস্থ্যই যদি মূল কারণ হয় তাহলে তো আমিষ পদ স্বচ্ছ আবরণ দিয়ে ঢাকা দিলেই চলে। কেন খুলে রাখা যাবে না বলা হচ্ছে। তবে সমালোচকদের এই প্রশ্নের উত্তর দেননি মেয়র। তিনি বলেছেন, আমিষ পদ এমনভাবে ঢেকে রাখতে হবে যেন সেটা মানুষের নজরে না পড়ে। কারণ এতে তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।