Uttarkashi: উত্তরকাশীতে উদ্ধার কি আজকেই? বিশ্বজুড়ে প্রবল উদ্বেগ প্রহর

এবার উত্তরকাশী (Uttarkashi) টানেল দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। প্রায় সব ম্যানুয়াল ড্রিলিং সম্পন্ন হয়েছে। ৪১ জন কর্মীকে যে কোন সময় বের করে আনা…

short-samachar

এবার উত্তরকাশী (Uttarkashi) টানেল দুর্ঘটনা নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। প্রায় সব ম্যানুয়াল ড্রিলিং সম্পন্ন হয়েছে। ৪১ জন কর্মীকে যে কোন সময় বের করে আনা হতে পারে। টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দলগুলি সুড়ঙ্গের ভিতরে পৌঁছেছে। 

   

শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযানে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। উদ্ধারকারী দল কর্মীদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। টানেল গেটে অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। সুড়ঙ্গের কাছে চিকিৎসকের দলও রয়েছে। এরই মধ্যে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের দল পৌঁছে গেছে সুড়ঙ্গের ভেতরে। টানেলের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের একটি কনভয় মোতায়েন করা হয়েছে। টানেলের বাইরে শ্রমিকদের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। দড়ি ও মই দিয়ে সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা যে কোনো সময় টানেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা-বারকোট টানেলের একটি অংশ ১২ নভেম্বর ধসে পড়ার পর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার প্রচেষ্টায় উদ্ধারকারী দলগুলি গতি পেয়েছে। সোমবার, ইঁদুর-গর্ত খনির (rat mining) বিশেষজ্ঞরা ভেতরে আটকে পড়া উদ্ধারকর্মীদের সাহায্যের জন্য ডাকা হয়েছিল।

ধসে পড়া উত্তরকাশীর (Uttarkashi)সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকদের উদ্ধারে নতুন কৌশল অবলম্বন করে আনা হয় ‘র‌্যাট-হোল মাইনিং’ বিশেষজ্ঞ। সোমবার ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে তাঁরাই ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু করেন। উত্তরাখণ্ডের নির্ণীয়মান সুড়ঙ্গের ধসে পড়া অংশের শেষ ১০ মিটার ধ্বংসাবশেষে অনুভূমিকভাবে ম্যানুয়াল ড্রিলিং-এর কাজ চলছে। তাঁর জন্যে আনা হয়েছে ১২ জন ‘র‌্যাট-হোল মাইনিং’ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা ‘ইঁদুরের গর্তের’ মতো খুঁড়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছেন।এর আগে শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাঁচাতে অগার মেশিন কাজ চালাচ্ছিল। মেশিনটি খারাপ হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।

মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার মঙ্গলবার বলেন, “ড্রিলিং ৫০ মিটার অতিক্রম করেছে এবং মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মিটার খনন বাকি রয়েছে।গতকাল রাতে আমাদের কোনো বাধা ছিল না। এটা খুব ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে”। প্রসঙ্গত, গত ১৬ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে।