UPI Transfer: ২০০০ টাকা পেমেন্টে অপেক্ষা করতে হবে ৪ ঘন্টা, কেন্দ্রের নতুন নিয়ম

২০০০ টাকার বেশি UPI পেমেন্টের ক্ষেত্রে সময় লাগবে চার ঘন্টা। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্রমবর্ধমান অনলাইন পেমেন্ট জালিয়াতির…

4-hour delay likely in first UPI transfer over Rs 2,000

২০০০ টাকার বেশি UPI পেমেন্টের ক্ষেত্রে সময় লাগবে চার ঘন্টা। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্রমবর্ধমান অনলাইন পেমেন্ট জালিয়াতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ টাকার বেশি ডিজিটাল লেনদেনের সময়সীমা ৪ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হতে পারে।

সহজ ভাষায় বলতে, প্রথমবার ২০০০ টাকার বেশি ট্রান্সফার করলে অবিলম্বে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে না।এর জন্য ৪ ঘণ্টা সময় নেওয়া হবে। যদি এই প্রস্তাবটি কার্যকর হয় তবে এটি সম্ভবত অন্যান্য রিয়েল-টাইম মানি ট্রান্সফার পরিষেবাগুলিতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ধরনের অন্যান্য পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে IMPS এবং RTGS।

   

বর্তমান নিয়ম অনুসারে, আপনি যদি এখন একটি নতুন UPI আইডি তৈরি করেন, আপনি প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বাধিক ৫০০০ টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। NEFT-এর ক্ষেত্রে, প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বাধিক ৫০,০০০ টাকা পাঠানো যেতে পারে। এই পরিমাণটি একবারে বা একাধিক কিস্তিতে পাঠানো যেতে পারে, তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ পাঠানো হবে না। নতুন প্ল্যান অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি UPI-এর মাধ্যমে প্রথমবার কাউকে ২০০০ টাকা পাঠান, তাহলে তা ৪ ঘণ্টা পরে তার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক, গুগল এবং রেজারপে-এর মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে RBI-এর প্রতিনিধিরাও যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে সমস্ত গ্রাহকরা প্রথমবার ২০০০ টাকার বেশি প্রদান করবে তাদের ৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) অনুসারে, অক্টোবরে UPI-এর মাধ্যমে ১৭.১৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করা হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল পেমেন্টের মধ্যে অনলাইন পেমেন্ট জালিয়াতির ঝুঁকিও বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখেই নতুন এই পরিকল্পনার কথা ভাবছে সরকার।