হিমালয়ে ফের বিপর্যয়। চোখের সামনে বিশাল পাহাড়ের অংশ ধসে পড়ল। (Uttarakhand) ভয়াবহ এই পরিস্থিতি।
পিটিআই জানাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলায় ধস নেমেছে। কমপক্ষে তিনশ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন। ধসের কারণে যাতায়াত বন্ধ। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। হিমালয়ে বিপর্যয় ঘন ঘন। বাড়ছে ভূমিকম্প প্রবণতা। আসন্ন বর্ষা মরশুমে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফের ভয়াবহ ভূমিধস উত্তরাখণ্ডে। ভূমিধসের জেরে সেখানকার পাহাড়ি রাস্তা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৩০০ জন ভূমিধসের জেরে আটকে পড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকার্য চলছে।
রাস্তার যে অংশ ভূমিধস হয়েছে, তা তৈরির কাজও শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। খবর অনুযায়ী, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সে রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে।
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার ঘটনা। সেখানকার লিপুলেখ ও তাওয়াঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তাতেই নেমেছে ভূমিধস। ধারচুলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উপরে লখনপুর এলাকায় ভূমিধসের জেরে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে।
লিপুলেখ ও তাওয়াঘাটের সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে পড়ায় ধারাচুলা ও গুঞ্জি এলাকায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। প্রায় ৩০০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন সেখানে।
পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। আগামী ২ দিনের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে ফের ওই রাস্তা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী আধিকারিকেরা।
এদিকে, হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিনে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া, বাগেশ্বর, চামোলি, চম্পাবত, দেরাদুন, গারোয়াল, হরিদ্বার, নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথোরাগড়, উত্তরকাশীর মতো জেলাগুলিতে বজ্রবৃষ্টি ও ধুলিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে।
পুলিশও তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অকারণে ঘর থেকে বেরতেও নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, যমুনেত্রী ও গঙ্গোত্রী ধাম যাত্রায় গেলে আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে যাত্রা করাই শ্রেয়।