রবিবার দিল্লির আম্বেদকর বস্তি এলাকায় দুই মহিলাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা। ইতিমধ্যেই দিল্লি (Delhi) পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো অর্জুন এবং মাইকেল। জানা গেছে নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্তদের আর্থিক বিরোধ ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, টাকা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন করা হয়। মৃতরা হলেন পিঙ্কি (৩০) ও জ্যোতি(২৯)। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা আরকে পুরম থানায় ভোর ৪ টে ৪০ নাগাদ একটি পিসিআর কল পেয়েছিলেন। এবং অভিযোগকারী জানায়, কিছু লোক আম্বেদকর বস্তিতে কলারের বোনদের গুলি করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে পিঙ্কি ও জ্যোতি নামে দুই মহিলা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে মহিলাদের দিল্লির এসজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
দিল্লির দক্ষিণ পশ্চিমের ডিসিপি মনোজ সি বলেন, “মনে হচ্ছে আততায়ীরা প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের ভাইয়ের জন্য এসেছিল, কিন্তু তাকে না পেয়ে দুই মেয়েকে গুলি করেছে। আইপিসির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে,” ।
এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দিল্লি সম্পর্কে কেন্দ্রকেও নিশানা করেন। তিনি লিখেছেন যে জাতীয় রাজধানীতে লোকেরা নিরাপদহীনতায় ভুগছে।
কেজরিওয়াল হিন্দিতে একটি টুইটে লিখেছেন, “উভয় মহিলার পবিবারকে আমার সমবেদনা। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মা শান্তি পায় যেন। দিল্লির মানুষ খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে”।
তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, “যাদেরকে দিল্লির আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে, তারা আইনশৃঙ্খলা ঠিক না করে পুরো দিল্লি সরকারকে দখলের ষড়যন্ত্র করছে। আজ, যদি দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা এলজির পরিবর্তে এএপি সরকারের অধীনে থাকত, তবে দিল্লি সবচেয়ে নিরাপদ হত,”।
এএপি নেতা এবং দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজও আর কে পুরম এলাকায় দুই মহিলার হত্যার নিন্দা করে বলেন, “গত এক বছরে দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নারীরা নিরাপদে নেই। নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। আজ আর কে পুরম এলাকায় দুই বোনকে খুন করা হয়েছে। অপরাধ এত বেড়েছে এবং এর পিছনে কারণ হল, এলজির অগ্রাধিকারগুলি সঠিক নয়।”