বছর পাঁচাকেরে ব্যবধান। ফের বিজেপিকে সঙ্গী বাছলেন উদ্ধব ঠাকরে। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে এই গাঁটছড়া সম্পন্ন হতে চলেছে। সোমবার এই দাবি করেছেন এনডিএ শিবিরের নির্দল বিধায়ক রবি রানা। এই বিধায়কের কথায়, ‘আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি নরেন্দ্র মোদীজি আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১৫ দিন পরেই তাঁর পাশে দেখা যাবে উদ্ধব ঠাকরেকে। মোদীজি ও উদ্ধবজি বাল করেই জানেন আসন্ন সময় তাঁদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার। মোদীজি বালা সাহেব ঠাকরের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।’
পাশাপাশি বিধায়ক রবি রানার আশঙ্কা, ‘বিরোধী এমভিএ জোটের (উদ্ধব ঠাকরের সেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেস গঠিত মহা বিকাশ আঘাদি) নেতাদের রক্তচাপের ওষুধ এবং ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে রাখা উচিত, কারণ এঁদের মধ্যে অনেকেই ৪ঠা জুন অসুস্থ হয়ে পড়বেন।’
দুরন্ত জয়ের তুফানি সেলিব্রেশন, জানুন বিজেপির মেগা পরিকল্পনা
মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে বিবাদকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের পর উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন সেনার সঙ্গে বিজেপির ঝামালে শুরু হয়। একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে বিজেপি সেবার মারাঠা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ দাবি করেছিল। তবে দিতে রাজি ছিল না উদ্ধব ঠাকরে। ফলে ভেঙে যায় দুই দলের জোট। পরে, কংগ্রেস, এনসিপি ও উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা মিলে গঠিত হয় ‘মহা বিকাশ আঘাদি’ জোট।
প্রমাদ গুণছেন, নাকি উদযাপনের জন্য তৈরি? ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন সনিয়া?
উদ্ধব মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলেও ক্ষমতার টানাপোড়েন ঘিরে এই জোটে অবিস্বাসের বাতাবরন থেকেই যায়। বিজেপিকে সমর্থন নিয়ে টানাপোড়েন চলে শিবসেনাতেও। পরে, সেনাও দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন ‘বিক্ষুব্ধ’ শিবসেনা বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে ছাকরে সরকার। পদত্যাগ করেন উদ্ধব। বদলে বিজেপির সমর্থনে সেই কুর্সিতেই বসেন একনাথ শিণ্ডে। শিবসেনার ভারও যায় তাঁর কাঁধেই।
সম্প্রতি বিধান পরিষদের নির্বাচন ঘিরেও উদ্ধবের সঙ্গে কংগ্রেসের মনকষাকষি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, সমবায় আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা সন্দীপ হাত শিবিরের লোক। জেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’বার জিতেছেন হাত প্রতীকে। এই সন্দীপকেই কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে বিধান পরিষদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন উদ্ধব। কংগ্রেস উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে আদর্শগত বিরোধও প্রকট। ফলে জোট কার্যত ভাঙতে বসার উপক্রম।