জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে দেশে বিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, দাবি স্বামীর

পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। বৃহস্পতিবার এই প্রবীণ নেতা ট্যুইটারে তাঁর ক্ষোভ উগরে…

Subramanian Swamy

পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। বৃহস্পতিবার এই প্রবীণ নেতা ট্যুইটারে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রতিদিন যেভাবে পেট্রোল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়ে চলেছে তাতে দেশে বিদ্রোহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়মিত বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রক তাদের মেধার দৈন্যতার প্রমাণ রেখেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবেই দেশের স্বার্থবিরোধী, জনবিরোধী। দেশের বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্যই জ্বালানির দাম বাড়িয়ে চলেছে মোদি সরকার। আসলে সরকার এটা বুঝে গিয়েছে যে, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস এগুলির দাম যতই বাড়ুক চাহিদা কমবে না। যত কষ্টই হোক মানুষ জ্বালানি কিনতে বাধ্য। তাই সরকার সেই সুযোগ নিচ্ছে। জ্বালানির দাম বাড়িয়ে বাজেট ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা সরকারের চরম অজ্ঞতার পরিচয়। যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের বিন্দুমাত্র বুদ্ধিমত্তা ও যোগ্যতা থাকতো তাহলে শুধুই দাম বাড়িয়ে বাজেট ঘাটতি পূরণের পথে তারা হাঁটত না।

   

স্বামী আরও বলেছেন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে দেশের প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে পারছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। আসলে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব রয়েছে। যদি তাঁরা দক্ষ ও যোগ্য হতেন তাহলে দাম না বাড়িয়েও কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে তাঁরা নতুন কোনও পথ খুঁজে বের করতেন। কিন্তু তাঁদের ভাবনা-চিন্তার মধ্যেই দৈন্যতা রয়েছে। সে কারণেই তারা সহজ পথে হেঁটে দাম বাড়ানোকেই একমাত্র হাতিয়ার করেছেন।