টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে বিজেপি, অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নোটিস জারি হাইকোর্টের

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চারটিতেই যথেষ্ট ভালো ফল করেছে বিজেপি (BJP)। এই ফলের পিছনে গেরুয়া দলের কারসাজি আছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। বিরোধীদের…

Uttarakhand High Court

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চারটিতেই যথেষ্ট ভালো ফল করেছে বিজেপি (BJP)। এই ফলের পিছনে গেরুয়া দলের কারসাজি আছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই অভিযোগ মান্যতা পেল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নোটিসে। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা ঋষিকেশের বিজেপি বিধায়ক প্রেমচাঁদ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করেছে। একটি জনস্বার্থ মামলায় ওই নোটিস জারি করা হয়েছে।

ওই জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়, নির্বাচনের আগেই রাজ্যের ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রেমচাঁদ। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করতে ওই টাকা খরচ করেন অর্থাৎ টাকা দিয়ে ভোট কিনেছিলেন প্রেমচাঁদ। কনক ধানিয়া নামে ঋষিকেশের এক বাসিন্দা এই মামলাটি দায়ের করেছেন। কনকের অভিযোগ, রাজ্যের ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা তুলে পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে ড্রাফটের মাধ্যমে সেই টাকা ভোটারদের বিতরণ করা হয়েছিল। প্রতিটি ড্রাফটের মূল্য ছিল ৪৯৭৬ টাকা। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই ড্রাফট তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনায় স্পষ্ট যে, নির্বাচনে জিততে এভাবেই টাকা দিয়ে ভোট কিনেছিলেন প্রেমচাঁদ।

টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে হাইকোর্ট শুধু প্রেমচাঁদকে নয়, একইসঙ্গে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও বিধানসভার স্পিকারকে। নোটিস পাঠানো হয়েছে দেরাদুনের জেলাশাসক, এসডিএম, ঋষিকেশের রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা অর্থ দফতরের এক আধিকারিককে। বিচারপতি মনোজ কুমার তিওয়ারি এই নির্দেশ জারি করেছেন। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সকলকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ মে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি বিধায়ক তথা অর্থমন্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র মনবীর সিং চৌহান বলেছেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই এ বিষয় তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ঋষিকেশ কেন্দ্রে প্রেমচাঁদ কংগ্রেস প্রার্থী জয়েন্দ্রচাঁদ রামোলাকে ১৯০৫৭ ভোটে পরাজিত করেন। নির্বাচনে জিতলেও হাইকোর্টের এই নোটিস অবশ্যই প্রেমচাঁদের জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। বলা যেতে পারে, কলঙ্কের কালি লাগল অর্থমন্ত্রীর গায়ে। পাশাপাশি এটাও বোঝা গেল যে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের করা অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন নয়।