নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপির বিতর্কিত পোস্ট মুছল ট্যুইটার

কয়েকদিন আগে ২০০৮ সালের আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে গুজরাতের বিশেষ আদালত। বিস্ফোরণ মামলার রায়ের পরই বিজেপি একটি কার্টুন ট্যুইটারে পোস্ট…

কয়েকদিন আগে ২০০৮ সালের আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে গুজরাতের বিশেষ আদালত। বিস্ফোরণ মামলার রায়ের পরই বিজেপি একটি কার্টুন ট্যুইটারে পোস্ট করেছিল। যা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়। নেটিজেনদের প্রবল সমালোচনার চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ওই কার্টুনটি মুছে দেয়।

নেটিজেনরা প্রায় সকলেই এই পোস্টটিকে তীব্র ধর্মীয় উত্তেজনার প্রতীক বলে মন্তব্য করে।
উল্লেখ্য, গুজরাত বিজেপির অফিসিয়াল ট্যুইটার থেকে ওই কার্টুনটি পোস্ট করা হয়েছিল। ওই কার্টুনে দেখা গিয়েছিল মাথায় ফেজ টুপি পরা কয়েকজন ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে। তাদের পিছনে ছিল দেশের পতাকা। আর নিচে লেখা ছিল সত্যমেব জয়তে। ওই কার্টুনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে প্রবল সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা প্রায় সকলেই একবাক্যে ওই কার্টুনকে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট বলে জানিয়ে দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্যুইটারের কাছে একের পর এক প্রতিবাদ আসতে থাকে। এ ঘটনায় প্রবল চাপে পড়ে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।
বিতর্কের রেশ আরও ছড়িয়ে পড়ার আগেই শেষ পর্যন্ত ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ওই কার্টুনটি মুছে দেয়। গুজরাত বিজেপির মুখপাত্র ইয়াগনেশ দাভে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁরা কার্টুনটি পোস্ট করেছিলেন।

এর পিছনে তাঁদের কোনও রকম ধর্মীয় উদ্দেশ্য ছিল না। তবে বিতর্ক ছড়ানোর কারণে শেষ পর্যন্ত ট্যুইটার পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছে। দাভে এই কথা বললেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ওই কার্টুনটি পোস্ট করে বিজেপি যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল। সে কারণেই টুইটার কর্তৃপক্ষ মুছে দিলেও তারা কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে শুধু ট্যুইটার নয় ওই কার্টুনটি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো অন্য কোনও সোশ্যাল সাইটেও আর দেখা যাবে না বলে জানা গিয়েছে।