গ্রামাঞ্চলে ১০০ শতাংশ আসনের টার্গেট নিল বিজেপি, রাম-বাম তীব্র সংঘর্ষের আশঙ্কা

টার্গেট ১০০ শতাংশ! এমনই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP)। প্রায় নিরাপত্তাহীন গ্রামাঞ্চলের ভোটের আগে বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় রাজনৈতিক খুন ও সংঘর্ষে জ্বলন্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।…

tripira

টার্গেট ১০০ শতাংশ! এমনই সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP)। প্রায় নিরাপত্তাহীন গ্রামাঞ্চলের ভোটের আগে বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় রাজনৈতিক খুন ও সংঘর্ষে জ্বলন্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রহসণে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ করল রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএম (CPIM)।

না থেকেও আছেন তিনি! রাজ্য কমিটির বৈঠকের আগে শুভেন্দুদের মাথাব্যথা দিলীপই?

   

শাসকদল বিজেপির বর্ধিত কার্যকারিণী সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০০ শতাংশ জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে, সহিংসতা এবং উশৃঙ্খল আচরণ বাদ দিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সকলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

পোর্টাল খুলে ১০০ জনকে নিয়ে আবারও শুভেন্দুর অভিযান! পদ্মবনের অধিকার বাঁচাতে রাজভবনই ভরসা?

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টির সমস্ত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ ও প্রাক্তন মু়খ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবসহ অন্যান্য বিধায়ক, মন্ত্রী, বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্ব।

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে আরও সংঘর্ষ ও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় বিজেপি ও সিপিআইএমের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর আসছে। সর্বাধিক সাংঘর্ষিক এলাকা বিশালগড় ও গণ্ডাছড়া।

‘খেলা শুরু’ অভিজিতের! মমতাকে বিরাট চ্যালেঞ্জ তমলুকের বিজেপি সাংসদের

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার বলেছেন, বিজেপির দূর্বলতার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ বিজেপির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তাছাড়া, বৃহৎ জালিয়াতি করে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হরণের চেষ্টা করছে শাসক দল।জনগণ বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষুদ্ধ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার পরিণাম কি হতে পারে তারা বুঝতে পেরেছে। তাই তারা রাজ্যজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের সূচি প্রকাশের পর থেকেই শাসক বিজেপি বনাম বিরোধী বাম শিবিরের সংঘাত শুরু। দলীয় নেতা ও প্রার্থী খুনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করে সিপিআইএম। আগরতলায় বনধের ভালো সাড়া পড়েছে। জেলা, মহকুমা ও সমতল এলাকার গ্রামাঞ্চলেও বনধের প্রভাব পড়েছে। তবে পার্বত্য ত্রিপুরায় বনধ সফল নয় বলেই দাবি করেছে সরকারের শরিক তিপ্রা মথা।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজ্যবাসী বিজেপির উন্নয়নের রাজনীতিতেই আস্থা রাখবেন। বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ, গণতন্ত্র ধংস করে রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি।