Tripura: TMC প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ অস্বীকার করল BJP

News Desk: সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আশ্বাসের পরেও পরিস্থিতি গরম। পুরভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হামলা হচ্ছে। সোমবার রাতে…

tripura-tmc

News Desk: সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আশ্বাসের পরেও পরিস্থিতি গরম। পুরভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক হামলা হচ্ছে।

সোমবার রাতে আগরতলা পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থী গৌরী মজুমদারের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তারা বিজেপির সমর্থক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে শাসক দল বিজেপি।

পড়ুন: Tripura: শিক্ষামন্ত্রীর শরীর BJP-র সঙ্গে, মন উড়ুউড়ু, বিস্ফোরক ইঙ্গিত CPIM রাজ্য সম্পাদকের

তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। প্রার্থী গৌরী মজুমদারের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতা রঞ্জিত মজুমদারের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিরোধীদের কোনওরকম নিরাপত্তা দিচ্ছে না রাজ্যের বিপ্লব দেব সরকার। আরও অভিযোগ, শুধু গুলি চালানোই নয়, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রীতিমতো হুমকিও দিয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রঞ্জিতের পাল্টা অভিযোগ, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই তৃণমূল প্রার্থী নাটক করছেন। মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

tripura-tmc

উল্লেখ্য, সোমবার ত্রিপুরা ছাড়ার আগে টিএমসি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, ত্রিপুরায় জঙ্গল রাজ চলছে। এখানে পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিরোধীদলের নেতা কেউই বিপ্লব দেবের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে কড়া ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, রাজ্যের পুরভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

শীর্ষ আদালতে তৃণমূল তার আবেদনে বলেছে, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সেখানে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই অবিলম্বে পুরভোট স্থগিত রাখা হোক। অন্যদিকে ত্রিপুরা সরকারের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রচারে শেষ দিনে হঠাৎই কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনার কথা উল্লেখ করে তৃণমূল মামলা করেছে। অথচ তাদের প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ।

ত্রিপুরা সরকারের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।
আদালত জানতে চায়, ত্রিপুরার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার হাতে? রাজ্যের পুর নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে এই ব্যাপারে ত্রিপুরা সরকার কি কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারবে? ভোট গ্রহণ বা ভোট গণনার দিন রাজ্যে কোথাও কোনও অশান্তি হবে না সে ব্যাপারে কি কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারবে সরকার? আদালতের এ ধরনের একের পর এক কড়া কড়া প্রশ্নের উত্তরে ত্রিপুরা সরকার জানায়, তারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।