‘স্বামীকে খুন করে এসেছি বডি নিয়ে আসুন…’

ডিউটি অফিসার চমকে গেলেন। তার সামনে যে মহিলা দাঁড়িয়ে তার হাবভাবে কোনও উদ্বেগ নেই। ঠাণ্ডা গলায় তার দাবি, স্বামীকে খুন করেছি। ওর বডি ঘরে পড়ে…

ডিউটি অফিসার চমকে গেলেন। তার সামনে যে মহিলা দাঁড়িয়ে তার হাবভাবে কোনও উদ্বেগ নেই। ঠাণ্ডা গলায় তার দাবি, স্বামীকে খুন করেছি। ওর বডি ঘরে পড়ে আছে। যান, গিয়ে তুলে আনুন।
-কী করে খুন করলেন?
-কুপিয়েছি।
উপজাতি বয়স্ক মহিলার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি শুনে আরও চমকে গেলেন ত্রিপুরার (Tripura) গোমতি জেলার বীরগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মীরা। আত্মসমর্পণকারী মহিলার নাম কাজলকন্যা জমাতিয়া।

মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার হয়। চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত। নিহতের নাম প্রেমগুরু জমাতিয়া। বয়স ৬০ বছর।

নিহত প্রেমগুরুর স্ত্রী কাজলকন্যা জমাতিয়ার বয়স ৫০ বছর। তিনি নিজেকে খুনি বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে পরপর কোপাই। ও মরে যায়। বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ উপজাতি মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় ত্রিপুরা আলোড়িত।

এই উপজাতি দম্পতির পাঁচ মেয়ে। দুজন মারা গেছে। আর বাকি দুই মেয়ে বাবা-মায়ের সাথেই থাকে। এক মেয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরার আম্পিতে থাকে। জানা গিয়েছে, দুই মেয়ের মৃত্যুর পর প্রেমগুরু জমাতিয়া মদ্যপানে ডুবে থাকতেন। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে নির্যাতন করত। পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। এর জেরে স্ত্রী কুপিয়ে খুন করেছে স্বামীকে। কাজলকন্যার বয়ানের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।