Tripura: ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ নেতা বিজেপির কবর খুঁড়ছে: সুদীপ বর্মণ

News Desk: পুর নির্বাচনে লাগাতার সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ভালো কিছুর জন্য ভোট দিতে আবেদন করলেন ত্রিপুরার (Tripura) প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ। তাঁর আবেদন, বিজেপির তকমাধারী হামলাকারীদের…

Sudip Roy Barman

News Desk: পুর নির্বাচনে লাগাতার সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ভালো কিছুর জন্য ভোট দিতে আবেদন করলেন ত্রিপুরার (Tripura) প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ। তাঁর আবেদন, বিজেপির তকমাধারী হামলাকারীদের প্রতিহত করে ভোট দিন। তিনি বলেন, আগে রাজ্যে উৎসবের আবহে ভোট হতো।

বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ সরাসরি তাঁর দলের উর্ধ্বতন কিছু নেতার কড়া সমালোচনা করেছেন। ইঙ্গিতে তিনি বলেন, এমন এক নেতা আছেন যাঁর ত্রিপুরা সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। শিশুসুলভ আচরণ করছেন তিনি। সুদীপবাবু নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কড়া সমালোচনা করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘসময় ত্রিপুরা থেকে দূরেই ছিলেন বিপ্লব দেব।

আগরতলা পুরনিগম ভোট ও নগর পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের পরপর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কোনও কাজেই আসেনি। অভিযোগ, শাসক বিজেপি আশ্রিত হামলাকারীরা বিরোধী সিপিআইএম, টিএমসি ও কংগ্রেস প্রার্থী, সমর্থকদের রুখতে মরিয়া। বিরোধীরা সরব নির্বাচনী সন্ত্রাস নিয়ে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

tripura

ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সুদীপ রায় বর্মণ সরব। তিনি বলেন, রাজ্যে এমন এক নেতা আছেন যিনি বিজেপির কবর খুঁড়ছেন নিজেই। উড়ে এসে জুড়ে বসা এই নেতা বাম আমলের ‘হুলিগান’দের ব্যবহার করে ভোটে জিততে মরিয়া। এতে ক্ষতি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ও বিজেপিরই। আগামী দিন দলের পক্ষে ভয়ঙ্কর এই রাজ্যে।

সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপবাবুর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন ইচ্ছাকৃত নীরব ভূমিকা নিচ্ছে। তারা চাইছে এই রাজ্যে আবার বাম শাসন। যে টানা ২৫ বছর সিপিআইএমের শাসন চলেছিল, তাকে সরিয়েই বিজেপি সরকার গড়েছে উন্নত পরিষেবা দিতে। তবে কিছু নেতার ভূমিকা বামেদের পথ প্রসস্ত করছে।

আগরতলা পুর নিগম নির্বাচনের আগেই সুদীপ রায় বর্মণের কড়া আক্রমণে ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপিতে প্রবল শোরগোল। মনে করা হচ্ছে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন সুদীপবাবু।

সুদীপবাবুর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই টিএমসি সাংসদ ও ত্রিপুরার দায়িত্বে থাকা সুস্মিতা দেব বলেন, সুদীপ দা একজন দায়িত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ নেতা। একধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সাহস থাকলে সুদীপবাবুকে বহিষ্কার করুক বিজেপি।

ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণের পুত্র সুদীপ রায়বর্মণ। তিনি দীর্ঘ সময় কংগ্রেসের বিধায়ক। টানা বাম আমলে দাপুটে কংগ্রেস নেতা। তবে গত বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপবাবু সহ ততকালীন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা টিএমসিতে যোগ দেন। রাজ্যে টিএমসি হয়েছিল ক্ষনিকের জন্য বিরোধী দল। এরপর বিধানসভা ভোটের আগে সুদীপবাবু সহ সেই বিধায়করা বিজেপিতে চলে যান। বিরোধী দল থেকে পরিবর্তনের ভোটে ত্রিপুরায় সরকার গড়ে বিজেপি। আর সিপিআইএম হয় প্রধান বিরোধী দল।

রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন সুদীপবাবু। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিধানসভা ও বাইরে সরব ছিলেন তিনি। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।