রাত বিরেতে সিপিআইএম নেতাদের গোপন ফোন কে করছে? শাসক শিবিরে আতঙ্ক

তৃ়ণমূলের (TMC) কোনও তেমন প্রভাবই নেই। রাজ্যে পরিবর্তন চেয়ে সিপিআইএমের (CPIM) কাছে ঘন ঘন ফোন আসছে রাত বিরেতে। প্রতিটি ফোনে থাকছে ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা। এমন…

mobile talking man

তৃ়ণমূলের (TMC) কোনও তেমন প্রভাবই নেই। রাজ্যে পরিবর্তন চেয়ে সিপিআইএমের (CPIM) কাছে ঘন ঘন ফোন আসছে রাত বিরেতে। প্রতিটি ফোনে থাকছে ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা। এমন ফোন পাচ্ছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক ও আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এই ফোনের কথা প্রচারিত হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পরিস্থিতি দ্রুত মোড় নেবে। যে কোনও সময় তেমন কিছু ঘটতে পারে। এতেই আশঙ্কিত শাসকদল।

কেন এমন ফোন আসছে ? বাম নেতাদের অনেকেরই বক্তব্য দু:শাসন থেকে বাম জমানার সুশাসনে ফিরতেই রাজনৈতিক জোট বার্তা আসছে। পরিস্থিতি আরও বড় হবার প্রবল সম্ভাবনা। প্রতিটি বার্তা বিশ্লেষণ করে যা বলবার তা সময়মত বলা হবে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

পশ্চিমবঙ্গের মত আরও এক বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরা। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে শাসক বিজেপি দনীয় কোন্দলে জেরবার। আর বিরোধী বাম শিবির চাইছে বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক জায়গায় টানতে। এই কারণে, কংগ্রেসের সাথে আসন সমঝোতার পর উপজাতি এলাকায় ক্ষমতাসীন টিপ্রা মথা দলের প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণকে জোটের বার্তা দেওয়া হয়। প্রাথমিক কিছু শর্তে রাজা ছিলেন অনড়।

তবে তিনি এখন নরম হচ্ছেন। তিনিই ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছেন সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীকে। চলছে দীর্ঘ আলোচনা। ভোট প্রচারে জীতেন্দ্র চৌধুরী দাবি করেছেন, রাজা প্রদ্যোত বলেছেন বিভিন্ন আসনে সমঝোতার পথ খোলা। জীতেনবাবুর আরও দাবি, আমাকে রাজা প্রদ্যোত আগাম জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু আমি বলেছি, শুধু আমি জয়ী হলে হবে না। বামপন্থী ও অ-বিজেপি শক্তিকে জয়ী হতে হবে। তিনি আমার কথা মেনে নিয়েছেন।

তীব্র রাজনৈতিক ঘনঘটার কেন্দ্র এখন ত্রিপুরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় টানা পঁচিশ বছরের বাম জমানার পরিবর্তন হয়। সরকার গড়ে বিজেপি জোট। তবে তাদের জোট শরিক উপজাতি দল আইপিএফটি শক্তিহীন। সেই জায়গায় টিপ্রা মথার প্রবল প্রতাপ। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, বিজেপির উপজাতি শরিক দলটির ডানা ভাঙতে সিপিআইএম কূটচাল দিয়ে টিপ্রা মথাকে ভোট ব্যাংক জুগিয়েছে। এবার মথার তরফে আসছে সদর্থক বার্তা। এই বার্ত রাজনৈতিক। এতে আশঙ্কিত বিজেপি।