ভোট (Tripura Election 2023) পরবর্তী সংঘর্ষে ত্রিপুরা সন্ত্রস্ত। সিপিআইএম (CPIM) নেতা দিলীপ শুক্লা দাসকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে ধৃত এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো গরম (Tripura) ত্রিপুরা। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়, নিহত নেতাকে দলীয় দফতরে নিয়ে যেতে পুলিশের বাধা দেওয়ায়।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীর সাথে পুলিশ অফিসারদের দীর্ঘ কথা কাটাকাটি চলে। এদিকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রচুর বাম সমর্থক আগরতলা জিবি হাসপাতালের সামনে অবরোধ করেন। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত টানাপোড়েন চলে। অভিযোগ, পুলিশ মৃতদেহ ইচ্ছে করে আটকে রাখে। টালবাহানার পর অবশেষে পুলিশ নরম হয়। সন্ধের পর দেহ নিয়ে শোকমিছিল করে সিপিআইএম সমর্থকরা।
মৃত দিলীপ দাসকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির নেতা কৃষ্ণকমল দাসকে। তার বাড়ি তার বাড়ি কল্যাণপুরের দ্বারিকাপুর। ধৃত বিজেপি নেতা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ তার নির্দেশে সিপিএম কর্মী দিলীপ দাসের উপর হামলা হয়েছিল। গুরুতর জখম ওই সিপিএম কর্মীর চিকিৎসা চলছিল আগরতলার জিবি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত দিলীপ শুক্লা দাসের বয়স ৫০ বছর। তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য সরগরম।
সিপিআইএম নেতাকে রাজনৈতিক কারণে খুন করা হয়নি। দুটি পরিবারের মধ্যে বচসার জেরে এই খুন বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও সিপিআইএমের অভিযোগ, বিজেপির চাপে পুলিশ রাজনৈতিক খুনের প্রসঙ্গ ধামা চাপা দিতে চাইছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, অমানবিক সরকার চলছে। যিনি খুন হয়েছেন তিনি সিপিআইএম দলের কর্মী। তাঁর মৃতদেহকে শ্রদ্ধা জানাতে পুলিশের বাধা দেওয়ার পিছনে সরকারি চাপ আছে। তবে এই ঘটনা প্রমান করে বিজেপির অমানবিকতা। নিহত সিপিআইএম সমর্থকের দেহ দীর্ঘক্ষণ কেন হাসপাতালে আটকে রাখল পুলিশ এই প্রশ্নে রাজনৈতিক মহল সরগরম।