ত্রিপুরায় বিজেপির পারফরম্যান্স শূন্য, নজর ঘোরাতে মু়খ্যমন্ত্রী বদল নাটক: জীতেন্দ্র

শনিবার দুপুরে চরম নাটকীয় পরিবেশ ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতিতে৷ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকা বিপ্লব দেবের ইস্তফা এবং কয়েক ঘন্টায় মধ্যে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আনল বিজেপি।…

cpim state secretary jitendra Chowdhury

শনিবার দুপুরে চরম নাটকীয় পরিবেশ ত্রিপুরার (Tripura) রাজনীতিতে৷ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকা বিপ্লব দেবের ইস্তফা এবং কয়েক ঘন্টায় মধ্যে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আনল বিজেপি। সরকারের এমন অবস্থায় প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম সুর চড়াল।

ত্রিপুরা সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “আজকে বিপ্লব কুমার দেব আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। যদিও এটা আচমকা বিনা নোটিশে হয়েছে৷ কিন্তু এটা অনভিপ্রেত ছিল না। কেননা, বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার কায়েম হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এ রাজ্যের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া শুরু হয়েছিল। এটা এখন ফ্যসিস্ট সুলভ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। যেখানে সংবিধান অচল। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার নেই। জনজীবনের সর্বত্র শুধু অ্যানার্কি৷ অর্থনীতি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এই সরকারের প্রতি রাজ্যের মানুষ অতিষ্ট”।

সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, ” গত চার বছর ধরে বিপ্লব দেবের সরকারের যে পারফরম্যান্স তা শুধুমাত্র শূন্য নয়, মাইনাসের থেকে নিচে চলে গেছে। শুধুমাত্র রাজ্য নয়, কেন্দ্র দেখছিল কীভাবে এই চেহারা ঢাকা যায়। কীভাবে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানো যায়। এই জন্য নতুন একটা নাটক মঞ্চস্থ করছে। যেখানে সরকারের আর ৯ থেকে ১০ মাস বাকি, সেখানে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে একটা নতুন মুখ এনে ফেসলিপ দিতে চাইছে”৷

সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর বার্তা, “এতে কিছু কাজ হবে না। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে সম্পূর্ণভাবে চিনে ফেলেছে। এবং এটা একা বিপ্লব দেবের ব্যর্থতা নয়, এটা বিজেপির ব্যর্থতা, এটা সরকারের ব্যর্থতা। কাজেই এই নাটকের পরেও লড়াই চলবে। ত্রিপুরার মানুষ উজ্জীবীত হয়ে লড়াই করবে”৷

গত আড়াই দশক ধরে বাম শাসন জারি ছিল ত্রিপুরায়। পাঁচ বছরের ক্ষমতায় এসে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে। ভেঙে পড়েছে দলের সংগঠন। এমত অবস্থায় ত্রিপুরায় পুনরায় লাল ঝাণ্ডার ক্ষমতা কায়েম হবে কি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যে পার্বত্য উপজাতি এলাকার ভোটব্যাংক শূন্য সিপিআইএমের। তবে বিজেপি, কংগ্রেসেরও একই হাল। সেক্ষেত্রে সমতলের আসনগুলি দখলে রাখতে হবে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির লড়াই। বিজেপির মু়খ্যমন্ত্রী মুখ বদলের পর তীব্র গোষ্ঠিকোন্দল শুরু। জল মাপছে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম।