BJP বিধায়কদের বিশেষ বৈঠকে দলত্যাগ সিদ্ধান্ত

একযোগে কতজন ছাড়বেন? এটা স্পষ্ট নয়। তবে একগুচ্ছ বিজেপি (BJP) বিধায়কের একসঙ্গে বৈঠক আর তার পরে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গঠনের আহ্বানে চাঞ্চল্য। শনিবার দুপুর থেকে প্রবল…

BJP

একযোগে কতজন ছাড়বেন? এটা স্পষ্ট নয়। তবে একগুচ্ছ বিজেপি (BJP) বিধায়কের একসঙ্গে বৈঠক আর তার পরে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গঠনের আহ্বানে চাঞ্চল্য।

শনিবার দুপুর থেকে প্রবল সরগরম ত্রিপুরা। সরকার ফেলে দেওয়ার পথে বিধায়করা? এমনই প্রশ্ন উঠছে।

একেবারে হুড়মুড়িয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিতে চলেছেন রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সংঘাত আরও বেড়েছে।

বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়কদের নেতা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ বনাম মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দুজনেই পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছেন।

শনিবার বিজেপি বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে বিধায়ক নিবাসে বিশেষ বৈঠক করেন সুদীপবাবু। এই বৈঠক ঘিরে ত্রিপুরা সরগরম। বৈঠক শেষে সুদীপ রায়বর্মণ জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মঞ্চ গঠন করা হবে। সেই মঞ্চ ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেবে।

কতজন বিধায়ক নিয়ে দলত্যাগ করতে চলেছেন সুদীপবাবু, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যতম আশিস দাস ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, বৈঠকে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়নি। যথা সময়ে আসল ছবি প্রকাশ পাবে।

ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটের আগে পরপর দলত্যাগের নজির দেখা গিয়েছিল। তৎকালীন বামফ্রন্ট জমানায় বিরোধী দল কংগ্রেস ছেড়ে সুদীপবাবু ও অনুগামীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে বিধানসভায় কংগ্রেস বিরোধী আসন হারায়।ভোটের ঠিক আগে টিএমসি ত্যাগ করে বিধায়করা বিজেপিতে চলে যান। টিএমসি বিরোধী দলের তকমা হারায়।

নির্বাচনে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। সিপিআইএমের শাসন শেষ হয়। বিজেপি জোট সরকার গড়ে। সেই সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন সুদীপবাবু। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতের কারণে তিনি মন্ত্রীত্ব হারান। সূদীপবাবু রাজ্যে পরিবর্তনের কাণ্ডারী বলে বিজেপির সমর্থকরা মনে করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সুদীপবাবু নন রাজ্যবাসী মোদীর নেতৃত্বে পরিবর্তন চেয়েছেন।

সুদীপবাবু ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি চালাতে শুরু করেছেন। তাঁর কর্মসূচি ঘিরে বিজেপির অন্দরমহল তীব্র আলোড়িত। বিরোধী দল সিপিআইএমের দাবি, রাজ্যবাসী কুশাসন থেকে মুক্তি চান। বামফ্রন্টকেই ফের সরকারে দেখতে চান। রাজ্যবাসী অসহনীয় কষ্টে আছেন।