শুক্রবার দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। গত বছর ডিসেম্বরে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র মঙ্গলবার ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট (ডিওই) থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছিলেন।
মহুয়া মৈত্রের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি বাংলোটি পুরোপুরি খালি করে দেন এবং তাঁর আইনজীবীরা বাংলোটি ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের হাতে তুলে দেন।
ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের পাঠানো নোটিসে, কড়া ভাষায় জানানো হয়েছিল, মহুয়া মৈত্র যদি নিজে থেকে বাংলো খালি করে না দেন, তাহলে তাঁকে ওই প্রাঙ্গণ থেকে উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।এই সরকারি নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু, বৃহস্পতিবারই তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
বাংলো ছাড়ার জন্য মাস চারেক সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ওই সময়কালে বাংলোর ভাড়া দিতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু আদালত কোনও কথাই শোনেনি। বিচারপতি জানান, সরকারি বাংলোর বিষয়ে রায় দেওয়ার অধিকার নেই আদালতের। তিনি আরও জানান, চার মাসের বদলে মহুয়া যদি ৩-৪ দিন বা এক সপ্তাহ সময় চাইতেন, তাহলে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করতে পারত।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার নেওয়া এবং সংসদের ওয়েবসাইটের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তাঁর সঙ্গে শেয়ার করার অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে ‘অনৈতিক আচরণের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করার পর তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি তদন্ত শুরু করেছিল, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল যে মহুয়া মৈত্র লোকসভায় ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির নির্দেশে আদানি গ্রুপ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন।