বেঙ্গালুরু বায়োলজিক্যাল পার্কে ১৬ হরিণের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক

বেঙ্গালুরুর ব্যানারঘাটা বায়োলজিক্যাল পার্কে (Bengaluru Biological Park)পেট সংক্রান্ত রোগ এবং পারস্পরিক লড়াইয়ের কারণে ১৬টি হরিণের মৃত্যুর পরে চিড়িয়াখানাগুলিকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।…

Bengaluru Biological Park

বেঙ্গালুরুর ব্যানারঘাটা বায়োলজিক্যাল পার্কে (Bengaluru Biological Park)পেট সংক্রান্ত রোগ এবং পারস্পরিক লড়াইয়ের কারণে ১৬টি হরিণের মৃত্যুর পরে চিড়িয়াখানাগুলিকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। সাতটি চিতাবাঘ মারা যাওয়ার পরই হরিণ মৃত্যুর এই ঘটনাটি ঘটেছে। উল্লিখিত শাবকগুলি একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছিল – ফেলাইন প্যানলিউকোপেনিয়া।

কর্মকর্তাদের মতে, গত মাসে বেঙ্গালুরুর সেন্ট জন’স হাসপাতাল থেকে ৩৭টি দাগযুক্ত হরিণকে এখানকার ব্যানারঘাটা বায়োলজিক্যাল পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি জানান, ‘হেমোরেজিক এন্টারাইটিস ও এন্ডোকার্ডাইটিস’ এবং নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে এর মধ্যে ১৬টি হরিণ মারা গেছে। এই হরিণের মৃত্যুর পরে, কর্ণাটকের বন, বাস্তুবিদ্যা এবং পরিবেশ মন্ত্রী ঈশ্বর খন্দ্রে বৃহস্পতিবার ব্যানারঘাটা বায়োলজিক্যাল পার্ক পরিদর্শন করেন এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

   

মন্ত্রী রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানাকে উচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বন্য প্রাণীদের সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। পার্কটি একটি অত্যন্ত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত স্থান উল্লেখ করে খান্ড্রে এত বড় আকারে প্রাণীদের মৃত্যুকে ‘শকিং’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, বন ও মেডিক্যাল অফিসারদের সকল প্রাণীদের সমন্বয় ও পরিদর্শন করতে হবে এবং তাদের যত্ন ও সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বৈঠকে মন্ত্রী কোনো বন্য প্রাণীর আকস্মিক বা সন্দেহজনক মৃত্যু হলে তা অবিলম্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে মহীশূরের বিখ্যাত শ্রী চামরাজেন্দ্র জুলজিক্যাল পার্ক এবং অন্যান্য চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘ, সিংহ এবং বাঘের মতো প্রাণীদের টিকা দেওয়ারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।