Tragic Incident: ঝাড়খণ্ডের জামতারায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ১২

বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলায় একটি বেদনাদায়ক ট্রেন (Tragic Incident) দুর্ঘটনা ঘটেছে। কালঝরিয়ার কাছে ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রেললাইনের কাছে থেকে…

Several Injured After Train Collision in Jamtara, Jharkhand

বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলায় একটি বেদনাদায়ক ট্রেন (Tragic Incident) দুর্ঘটনা ঘটেছে। কালঝরিয়ার কাছে ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রেললাইনের কাছে থেকে এখনও দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বলা হচ্ছে, তারা সবাই আসানসোল-ঝাঝা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কালঝরিয়ার কাছে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় লোকজন ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর সামনে থেকে আসা ভাগলপুর-যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জামতারা-কারমাতান্ডের কালঝরিয়ার কাছে ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ১২জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুজন মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় আরও অনেকের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রেন দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজনও উপস্থিত রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন যে আসানসোল-ঝাঝা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি জামতারা-করমাতান্ডের মধ্যে কালাঝাড়িয়া রেলওয়ে স্টপে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিছু যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখনই ভাগলপুর-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেখান থেকে চলে যায়, যা প্রায় ১২জনকে ধাক্কা দেয়। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা নিয়ে কী বললেন জামতারার বিধায়ক?
জামতারার বিধায়ক ইরফান আনসারি বলেছেন যে বর্তমানে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলছে। আমি রাঁচিতে আছি। খবর পেয়েই আমি জামতারার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। ইরফান আনসারি বলেন, যার অবহেলা এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার কাছে বাক্সগুলো যাবে না। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধের ভিত্তিতে। আমি ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেব।

রেলপথে অন্ধকার, উদ্ধারে অসুবিধা
যাত্রীরা চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়েছিলেন নাকি রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অন্য ট্রেনে ধাক্কা লেগেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আসলে, রেলপথে বেশ অন্ধকার। এ কারণে উদ্ধারকাজে বেশ অসুবিধা হচ্ছে।

ত্রাণ ও উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা
এদিকে স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বান্না গুপ্তা জামতারা জেলা প্রশাসককে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা জোরদার করতেও তিনি সিভিল সার্জন জামতারাকে বলেছেন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি। চিকিৎসায় কোনো অবহেলা করা চলবে না।