Manali: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে মনালিতে আটকে বহু পর্যটক

আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস নেমে এসেছে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে (Manali)। যার ফলে এই বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এলাকার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে।

Manali

দেশে বহু অপেক্ষার পরে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। কিন্তু এই অপেক্ষার ফলই এখন মানুষের প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি যার ফলে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস নেমে এসেছে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে (Manali)। যার ফলে এই বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এলাকার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে।

হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী জগৎ সিং নেগি বলেছেন যে, আকস্মিক বন্যায় জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “মানালি বিধানসভা কেন্দ্রে আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘর, জমি এবং বাগান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, এবং আকস্মিক বন্যার কারণে জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতু সংলগ্ন সংযোগ সড়কটিও খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেট সংযোগ, বিদ্যুৎ এবং জল কিছুই নেই। আমরা আটকে পড়া পর্যটকদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি”।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বহু পর্যটক সারা বছরই মানালিতে ভিড় জমায়। তবে এবার এই অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেক পর্যটক মানালিতে আটকা পড়েছেন। বন্যার কারণে ওই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানার এক পর্যটক নেহা বলেন, “আমরা বাড়িতে ফিরে যেতে চাই। রবিবার আমাদের ফেরার কথা ছিল কিন্তু বন্যার কারণে আমরা আটকে গিয়েছি।”

অন্যদিকে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে যে কাসোল এলাকায় আটকে পড়া ২০০০ মানুষকে এখনও পর্যন্ত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে রাজ্যে পরিচালিত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, হিমাচল প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত ডিজিপি সতওয়ান্ত অটওয়াল ত্রিবেদী বলেছেন যে কুল্লু মানালি থেকে ইতিমধ্যে ১০০০ যানবাহন ছেড়ে যাওয়া এবং চণ্ডীগড় যাওয়ার পথে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

নুরপুর পুলিশ বুধবার জানিয়েছে যে, জেলায় অবিরাম বৃষ্টির কারণে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল বিকেল ৩টে পর্যন্ত পান্ডোহ বাঁধ (মান্ডি) থেকে জল ছাড়া হবে। নুরপুর পুলিশ জানিয়েছে, “আগামী কয়েকদিন নদী, ড্রেন এবং বাঁধ এলাকার মতো নিচু এলাকার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে”।